মসজিদের কর্মসূচি ও কমিটির গুণাগুণ
ধর্ম ডেস্ক

ফাইল ছবি
মসজিদের পরিচয়: মসজিদ শব্দের শাব্দিক অর্থ হচ্ছে, সেজদা করার স্থান। মসজিদ আল্লাহ তায়ালার ঘর।
মসজিদের সম্মান ও গুরুত্ব বুঝানোর জন্য আল্লাহ তায়ালা আল কোরআনের আঠাশ জায়গায় মসজিদের আলোচনা করেছেন। এবং এর সম্মানার্থে মসজিদকে নিজের দিকে সম্বোধন করেছেন।
যেমন সূরা জ্বিনে তিনি বলেছেন, ‘আর মসজিদ সমূহ আল্লাহ তায়ালার জন্য খাস। অতএব তাঁর সঙ্গে আর কাউকে ডেকো না।’ (সূরা জ্বিন-১৮) সর্বপ্রথম মসজিদ হচ্ছে বাইতুল্লাহ শরীফ। বর্ণিত আছে যে, হজরত আদম (আ.) আল্লাহ তায়ালার নির্দেশে, আসমানের বাইতুল মামুর বরাবর বাইতুল্লাহ শরীফকে নির্মাণ করেছিলেন। বাইতুল মামুর হচ্ছে, ফেরেশতাদের ইবাদতের জায়গার নাম।
মসজিদের কার্যক্রম কেমন হওয়া চাই: রাসূল (সা.) হচ্ছেন সকল মুমিনের আদর্শ। তাঁর মসজিদ হচ্ছে মসজিদে নববী। তাই তিনি যেমন সকল মুমিনের আদর্শ তেমনি তাঁর মসজিদও সকল মসজিদের আদর্শ হবে। তাঁর মসজিদের কার্যক্রমের নকশার ওপর অন্য সকল মসজিদ চলবে। হাদিস ও সিরাতের কিতাব থেকে জানা যায় যে, রাসূল (সা.) মসজিদকে বিভিন্ন কাজের জন্য ব্যবহার করতেন। তিনি কখনো মসজিদকে নামাজের জায়গা হিসেবে ব্যবহার করতেন। সমাজের গুণীদেরকে নিয়ে মসজিদে মশওয়ারায় বসতেন। তাঁর মশওয়ারাও কেবল নামাজ রোজা বিষয়েই হতো এমন নয় বরং মদীনা রাষ্ট্রের যাবতীয় বিষয়ের মশওয়ারা তিনি মসজিদে বসে করতেন। তাঁর যুগে মসজিদ থেকে বিভিন্ন যুদ্ধের বাহিনী প্রেরণ করা হয়েছে। রাসূল (সা.) মসজিদকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবেও ব্যবহার করতেন। সেখান কয়েক শ্রেণীর ছাত্ররা পড়ালেখা করতো। কোনো কোনো ছাত্র সারাক্ষণ সেখানে থেকে পড়ালেখা করতেন। কেউ কেউ সারাদিন পরিবারের জন্য রুটি রোজগার করতেন এবং রাতে মসজিদে এসে রাসূল (সা.) এর কাছে বিভিন্ন বিষয় শিখতেন। অনেকে সপ্তাহে একদিন এসে বিভিন্ন কিছু শিখে নিজ এলাকায় গিয়ে অন্যদেরকে তা শিখাতেন। কখনো কোনো অসহায় লোক সাহায্যের জন্য এলে, রাসূল (সা.) মসজিদ চত্তরে মদীনাবাসীকে জমা করে সাহায্যের আবেদন জানাতেন। মসজিদে নববীর চত্তরে মল্লযুদ্ধের ব্যবস্থা করে কখনো তিনি বিনোদনের ব্যবস্থা করতেন। হাদিসে এসেছে, রাসূল (সা.) আম্মাজান আয়শা (রা.)-কে নিয়ে সেই বিনোদন উপভোগে অংশ নিতেন। রাসূল (সা.) এর কাছে বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রতিনিধি দল আসতো। তিনি তাদের মসজিদে থাকতে দিতেন। মোট কথা হচ্ছে, একটা সমাজের যাবতীয় দিকগুলো সামনে রেখে মসজিদে নববীর কার্যক্রম পরিচালিত হতো।
মহাগ্রন্থ আল কোরআন মসজিদকে হেদায়েতের মার্কজ সাব্যস্ত করেছে। আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘নিশ্চয় সর্বপ্রথম ঘর, যা মানব জাতির জন্য প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে, তা ওই ঘর, যা মক্কায় অবস্থিত, ওই ঘর বরকতময় এবং সমগ্র বিশ্ববাসীর জন্য পথপ্রদর্শক।’ (সূরা আলে ইমরান-৯৬) আয়াতে বর্ণিত, ‘নিশ্চয় সর্বপ্রথম ঘর, যা মানব জাতির জন্য প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে’ এর ব্যাখ্যায় মুফাস্সিরগণ বলেন, ‘মানব জাতির জন্য’ এর বাক্য দ্বারা উদ্দেশ্য হচ্ছে, মানব জাতির ইবাদতের জন্য। বাইতুল্লাহ শরীফ হচ্ছে সমস্ত মসজিদের কেবলা। আর তার গুণ বর্ণনা করা হয়েছে মানুষকে হেদায়েত করা। অতএব অন্যান্য মসজিদগুলোরও বৈশিষ্ট্য হবে মানুষকে হেদায়েতের ওপর আনা। মসজিদ থেকে হেদায়েতের আলো যখন অন্ধকারে নিমজ্জিত সমাজে ছড়িয়ে পড়ে তখন সমাজের চেহারাই পাল্টে যায়। আমাদের সমাজেও অসংখ্য মানুষ এমন পাওয়া যাবে, যাদের জীবনের রং পাল্টেছে শুধু মসজিদের সংশ্রবে আসার কারণে।
মোটকথা হচ্ছে, মসজিদ একটি মুসলিম সমাজে হৃৎপিন্ডের মর্যাদা রাখে। মসজিদের সঙ্গে সমাজের সবকিছুর একটা সূত্র বা বন্ধন থাকতে হয়। এ জন্য গবেষকরা আদর্শ মুসলিম সমাজের যে রূপরেখা দিয়েছেন, তা হচ্ছে মসজিদ কেন্দ্রিক সমাজ ব্যবস্থা। মসজিদের সঙ্গে সমাজের সম্পর্ক যত দৃঢ় হবে সমাজের সদস্যদেরও পরস্পর সম্পর্ক তত মজবুত হবে। সমাজের মানুষগুলো দৈনিক পাঁচবার পরস্পর মিলিত হলে অবশ্যই পরস্পর বিচ্ছিন্নতার ভাব দূর হবে। একে অপরকে জানবে। পরস্পর খোঁজ খবর নিবে। সমাজের সমস্যাগুলো দূর করার জন্য যৌথভাবে উদ্যোগী হবে। আর এর ব্যত্যয় ঘটলে পরস্পর সম্পর্ক শীতিল হওয়াটাই স্বাভাবিক।
উল্লিখিত বিষয়গুলোকেই মূলত মসজিদ বলা হয়। অর্থাৎ সমাজের সকল কাজের সূত্র মসজিদের সঙ্গে থাকা, মসজিদ মানব জাতির হেদায়েতের মার্কাজ, মসজিদ কেন্দ্রিক সমাজ সংস্কার, দাওয়াত, সমাজ কল্যাণ ও পরস্পর সহযোগিতার ব্যবস্থা থাকা ইত্যাদি। এগুলোকে যদি মসজিদের প্রাণ বলা হয়, তাও অতিরঞ্জন হবে না। কিন্তু আজ আমরা মসজিদের অর্থ বুঝি অন্যটা। বাহ্যিক সৌন্দর্যে সমৃদ্ধ, বড় একটা দালানকে মসজিদ মনে করি। তাই আমাদের সকল শক্তি-সামর্থ্য ব্যয় হয়, মসজিদের বাহ্যিক চাকচিক্য বৃদ্ধির পেছনে। সংস্কার, দাওয়াত, সমাজ কল্যাণ, সহযোগিতা ইত্যাদি বিষয়ে মসজিদ কর্তৃপক্ষ কোনো কর্মসূচি হাতে নিতে চায় না। অথচ একটি আদর্শ মসজিদের জন্য, দ্বীনি এসকল কর্মসূচির গুরুত্ব, মসজিদের বাহ্যিক চাকচিক্যের চেয়ে শতগুণ বেশি। আজ মসজিদের সৌন্দর্য বৃদ্ধির পেছনে অনেক শ্রম দেয়া হয়, কিন্তু দ্বীনি পোগ্রাম চালানোর লোক পাওয়া যায় না। এই অবস্থা মুসলমানদের জন্য অশনি সংকেত।
মসজিদের শুধু বাহ্যিক সৌন্দর্য বৃদ্ধি কেয়ামতের আলামত: মসজিদের বাহ্যিক চাকচিক্য বৃদ্ধি পাওয়াকে কেয়ামতের আলামত সাব্যস্ত করা হয়েছে। হজরত আনাস (রা.) এর সূত্রে বর্ণিত রাসূল (সা.) বলেছেন, ‘কেয়ামত তখন সংগঠিত হবে যখন মানুষ মসজিদের বাহ্যিক চাকচিক্য নিয়ে পরস্পর গর্ব অহংকারে লিপ্ত হবে।’ (মুসনাদে আহমদ) বোখারী শরীফের এক বর্ণনায় এসেছে, ‘মানুষ মসজিদের বাহ্যিক চাকচিক্যতে প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হবে, কিন্তু মসজিদ আবাদে তেমন কোনো লোক পাওয়া যাবে না।’ হজরত ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত আছে, ‘তোমরা এক সময় মসজিদের বাহ্যিক চাকচিক্যকে এত বেশি গুরুত্ব দিবে, যেমন ইহুদী, খৃষ্টানরা নিজেদের উপাসনালয়গুলোর ক্ষেত্রে দিয়ে থাকে।’
মসজিদ পরিচালনা কমিটির গুণাগুণ: আজ মসজিদগুলোতে ব্যাপক সংস্কারের কাজ চলছে। এসি, দামিদামি কার্পেট, টাইলসসহ সকল ধরনের আধুনিক সরাঞ্জাম মসজিদগুলোতে যুক্ত হচ্ছে। এর কারণ হচ্ছে, প্রত্যেকটা বস্তু চলার গতি নির্ধারিত হয় তার পরিচালকের যোগ্যতার ভিত্তিতে। মসজিদের পরিচালক যদি দীনের বুঝসম্পন্ন হয় তাহলে মসজিদে সবসময় দ্বীনি কার্যক্রম কীভাবে চলতে পারে তার ফিকির হবে। আর জাগতিক কোনো ব্যক্তি যদি দায়িত্ব হাতে নেয় তাহলে বাহ্যিক চাকচিক্যের দিকেই তার মনোযোগে বেশি থাকবে। তবে ব্যতিক্রম দু’একজন থাকতেই পারে। মসজিদ পরিচালনার দায়িত্ব কারা পালন করবেন, তা আল্লাহ তায়ালা বলে দিয়েছেন। সূরা তাওবার ১৮ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে ‘আল্লাহ তায়ালার মসজিদগুলোকে আবাদ করা তাদেরই কাজ, যারা আল্লাহ তায়ালার একত্ববাদের বিশ্বাসী হয় এবং তাকে রাজি খুশি করার জন্য কাজ করে। এর সঙ্গে কেয়ামত দিবসের প্রতি ঈমান আনে, নামাজ আদায় করে ও জাকাত দেয় এবং আল্লাহ ছাড়া কাউকে ভয় করে না। বস্তুত এ সকল লোকদের ব্যাপারে আশা রাখা যায় যে, তারা হেদায়েতপ্রাপ্তদের অন্তর্ভূক্ত হবে।’
এখানে মসজিদ পরিচালনার প্রথম শর্ত বলা হয়েছে, পরিচালক একত্ববাদের বিশ্বাসী এবং আল্লাহকে রাজি খুশি করার জন্য কাজ করে এমন ব্যক্তি হওয়া। কোনো ব্যক্তির ভেতরে এ সকল গুণাগুণ না থাকলে তাকে মসজিদ পরিচালনার জিম্মাদার বানানো থেকে নিষেধ করা হয়েছে। সূরা তাওবার ১৭ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে, ‘যারা নিজেদের কুফুরির ব্যাপারে সাক্ষ্য দিবে তারা মসজিদ আবাদ করবে, তা হতে পারে না। তারা এমন যাদের সমস্ত আমল নষ্ট হয়ে গেছে এবং তারা জাহান্নামে স্থায়ীভাবে অবস্থান করবে।’ অনেক সময় যে ব্যক্তি বেশিবেশি দান সদকা করে তাকে মসজিদ পরিচালনার দায়িত্ব দেয়া হয়। অথচ দীনদারী, আমানতদারীর দিক থেকে ওর চেয়ে শ্রেষ্ঠ ব্যক্তি সমাজে রয়েছে; এমন করা কাম্য নয়। বরং মসজিদ পরিচালনার ক্ষেত্রে ব্যক্তির বাহ্যিক দান সদকার চেয়ে তার ঈমান-আকীদা, আমানত ও আখলাককে বেশি গুরুত্ব দেয়া উচিত। আল্লাহ তায়ালা সুস্পষ্ট ভাষায় বলে দিয়েছেন, বাহ্যিক সৌন্দর্য আর নেকআমল, খোদাভীরুতা ও দ্বীনদারী এ দুটি কখনো সমান হতে পারে না। এ প্রসঙ্গে সূরা তাওবার ১৯ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে, তোমরা কী হাজিদের পানি পান করানো এবং মসজিদুল হারামের রক্ষণাবেক্ষণ করাকে তাদের (কাজের) সমান সাব্যস্ত করে রেখেছো, যারা আল্লাহ তায়ালা ও কিয়ামত দিবসের প্রতি ঈমান আনে এবং আল্লাহর পথে জিহাদ করে? তারা আল্লাহর নিকট সমান নয়; আল্লাহ তায়ালা জালেম সম্প্রদায়কে সুপথ প্রদর্শন করেন না।’
এখন খেয়াল করে দেখুন! আমাদের মসজিদগুলোর দায়িত্বে কারা আছেন? দেখা যাবে আমাদের মসজিদগুলোর দায়িত্বে এমন লোকেরাই আছেন যাদের অধিকাংশের মাঝে উল্লিখিত গুণাগুণ অনুপস্থিত। অন্যদিকে সমাজে তাদের চেয়ে দ্বীনদার ব্যক্তিও আছেন। কিন্তু তাদেরকে দায়িত্ব দেয়া হয় না সমাজে তাদের প্রতিপত্তি কম থাকা বা মালদার না হওয়ার কারণে। তাহলে মসজিদে দ্বীনি কার্যক্রম চলবে কীভাবে?
মসজিদ কমিটির করণীয় কিছু বিষয়: মসজিদ কমিটির প্রথম কাজ হচ্ছে মসজিদের প্রতি মানুষের অভক্তি তৈরি হয় এমন কোনো কাজ বা কর্মসূচি হাতে না নেয়া। বর্তমানে কিছু অসাধু লোক ধর্মীয় লেবাস পরে রাস্তায় রাস্তায় মসজিদের জন্য এক, দু’টাকা কালেকশন করে বেড়ায়। হজরত হাসান ইবনে আলী (রা.) এর একটি কথা প্রসিদ্ধ আছে। তিনি বলেন, ‘মানুষের কাছে হাত বাড়ানো, এটা বক্তার কথা বলার শক্তিকে দুর্বল করে ফেলে, বাহাদুরের মন ভেঙ্গে ফেলে, স্বাধীন ব্যক্তিকে গোলামের কাতারে নিয়ে আসে, চেহারার লাবন্যতাকে নষ্ট করে দেয়, বংশীয় আভিজাত্যকে নিঃশেষ করে ফেলে...।’ তো এ ভাবে রাস্তায় রাস্তায় দু’এক টাকা কালেকশান দ্বারা সাধারণ মানুষের মনে মসজিদের প্রতি অভক্তি তৈরি হয়। যা ব্যক্তির দ্বীনদারিকে ক্ষতিগ্রস্থ করে। মসজিদে দান করা বিশাল ছওয়াবের কাজ। রাসূল (সা.) মসজিদ নির্মাতার জন্য জান্নাতের সুসংবাদ দিয়েছেন। তাই উদ্বুদ্ধ করার মাধ্যমে মানুষ থেকে মসজিদের বিভিন্ন কাজে সহযোগিতা নেয়া যায়। কিন্তু মসজিদের কাজের জন্য এই পন্থা অবলম্বন করা, শুধু মসজিদেরই নয় বরং পুরো দ্বীন ইসলামের জন্য লা নাকর, তা কোনভাবেই মেনে নেয়া যায় না। আর এর পিছনের কারণ হচ্ছে, মসজিদের বাহ্যিক সৌন্দর্য বর্ধনের অসুস্থ প্রতিযোগিতা।
সর্বশেষ কথা হচ্ছে, মসজিদ আবাদের দুটি অর্থ উলামায়ে কেরাম করে থাকেন। (ক) মসজিদের বিল্ডিং নির্মাণ, সংস্কার ইত্যাদি বাহ্যিক কাজ সম্পন্ন করার মাধ্যমে মসজিদকে বাহ্যিকভাবে আবাদ করা (খ) মসজিদকে প্রাণ দানের মাধ্যমে অভ্যন্তরীণ আবাদ করা। যেমন নামাজ আদায়, জিকির, তেলাওয়াত ও রাসূল (সা.) এর ওপর যে ইলেম নাজিল হয়েছিলো, তা প্রচারের ব্যবস্থা করার মধ্য দিয়ে অভ্যন্তরীণ আবাদ করা। এই দুই প্রকারের মধ্য থেকে প্রথমটি তেমন গুরুত্ব বহন করে না। বরং দ্বিতীয়টাই মূখ্য উদ্দেশ্য। তাই ইবাদত, জিকির, তেলাওয়াত, খূশু-খুজু ও মসজিদ ভিত্তিক বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ড পরিচালনার মাধ্যমে আমাদেরকে মসজিদ আবাদ করতে হবে।
মহান রাব্বুল আলামিন আল্লাহ তায়ালা আমাদের সকলকে মসজিদের খেদমতে লেগে থাকার তাওফিক দান করুন-আমীন।
নিউজওয়ান২৪.কম/আ.রাফি
- যে দোয়ায় গলার কাঁটা নেমে যাবে ইনশাল্লাহ!
- ফরজ নামাজের পর প্রয়োজনীয় কিছু আমল
- দরুদে ইব্রাহিম
- মা-বাবার জন্য দোয়া
- তাহিয়্যাতুল-মাসজিদ
মসজিদে ঢুকেই দু’রাকাত নামাজ... - পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের সময়সূচি...
- দরুদে ইব্রাহিম
- কোরআন হাদিসের আলোকে জুমা’র দিনের গুরুত্ব ও তাৎপর্য
- ঋণ মুক্তির সর্বোত্তম আমল
- ফজিলতপূর্ণ কিছু দোয়া ও আমলসমূহ
- পবিত্র কোরআনের তথ্যকণিকা
- জুমার দিনের ৩ আমল
- হযরত আদম আ. এর বিয়ের মহর কত ছিল!
- ফেরেশতা পরিচিতি...
- ‘নিশ্চয় নামাজ অশ্লীল ও অন্যায় কাজ থেকে বিরত রাখে’