ঢাকা, ২২ এপ্রিল, ২০২৫
সর্বশেষ:

বৃষ্টিতে পাহাড়ে আতঙ্ক, সতর্কতায় মাইকিং

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৭:৪৯, ১২ অক্টোবর ২০১৮  

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

ঘূর্ণিঝড় তিতলির প্রভাবে সারাদেশে বুষ্টি হচ্ছে। আর এর প্রভাব যেন পাহাড়ি অঞ্চলে আরো বেশি পড়েছে। ফলে কাটছে না নতুন করে পাহাড়ধসের শঙ্কা। তাই টানা বৃষ্টি দেখে করা হচ্ছে মাইকিং। 

গত বুধবার থেকে শুরু হয়েছে পাহাড়ে বৃষ্টিপাত। এ অবস্থায় ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা থেকে লোকজনকে নিরাপদে সরে যেতে অব্যাহতভাবে মাইকিং করছে রাঙামাটি জেলা প্রশাসন। আবহাওয়া অফিস বলছে, আগামী রবিবার পর্যন্ত চলতে পারে এ বৃষ্টিপাত।

রাঙামাটি আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র কর্মকর্তা ক্যাচিনু মারমা জানান, কখনো হালকা, মাঝারি, আবার ভারি বৃষ্টিপাত হচ্ছে এখানে। সারাদিন গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি পাহাড়ের জন্য তেমন ভালো লক্ষন নয়। তাতেই রাঙামাটি পাহাড় ধসের শঙ্কা দেখা দিয়েছে। তাই শহরের ৩১টি ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে সতর্কতামূলক সাইনবোর্ড স্থাপনসহ প্রস্তুত রাখা হয়েছে আশ্রয় কেন্দ্রগুলোকেও।

এ ব্যাপারে রাঙামাটি জেলা প্রশাসক একে এম মামুনুর রশিদ বলেন, রাঙামাটিতে পাহাড় ধসে একটি প্রাণ হানির ঘটনা ঘটতে দেওয়া যাবে না। কারণ জেলা প্রশাসন এ বিষয়ে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থাগ্রহণ করেছে। বিশেষ করে ঝুকিপূর্ণ এলাকাগুলো আগে থেকে চিহ্নিত করা ছিল। সেখানে অবস্তানরত মানুষগুরোকে আশ্রয় কেন্দ্রে সরিয়ে নেওয়া ব্যবস্তা করা হয়েছে। 

জেলা প্রশাসনের এ আদের্শ অমান্য করে যারা বৃষ্টির মধ্যে পাহাড়ের নিচে বসবাস করবে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তিনি আরো বলেন, রাঙামাটি শহরে ৩১টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। যারা আশ্রয় কেন্দ্র আশ্রয় নিবে তাদের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। আশ্রয় কেন্দ্র মানুষদের নিরাপদে সরিয়ে আনতে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, বিভিন্ন সংগঠনের সেচ্ছা সেবক, ফায়ার সার্ভিসসহ অন্যান্যরা কাজ করছে।

এদিকে শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৩টায় দূর্যোগ মোকাবেলায় তাৎক্ষণিক সভা ডাকেন রাঙামাটি জেলা প্রশাসক। এতে রাঙামাটি রাঙামাটি জেলা প্রশাসক একে এম মামুনুর রশিদের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন, রাঙামাটি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. নজুরুল ইসলাম, রাঙামাটি অতিরিক্ত জেলা পুরিশ সুপার মো. জাহাঙ্গীর আলম, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুমনী আক্তার প্রমুখ।

নিউজওয়ান২৪/এএস

আরও পড়ুন
স্বদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত