ফজিলত ও নেয়ামতে ভরপুর যে আমল
নিউজ ডেস্ক

আয়াতুল কুরসি
পবিত্র কোরআনুল কারিমের মধ্যে অনেক আয়াত আছে ফজিলতপূর্ণ। তন্মধ্যে অত্যাধিক ফজিলত ও নেয়ামতে পরিপূর্ণ যে আয়াত রয়েছে সূরা বাকারার ২৫৫নং আয়াত তার একিট।
এটি অনেক বড় আয়াতও বটে। যাকে মুসলিম উম্মাহ আয়াতুল কুরসি হিসেবে চেনে বা জানে।
এ আয়াতের নেয়ামত ও ফজিলতের ব্যাপারে প্রিয়নবী হজরত মুহম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সুস্পষ্টভাবে কল্যাণকর নসিহত পেশ করেছেন-
> হজরত আবু জর জুনদুব রাদিয়াল্লাহু আনহু রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, হে আল্লাহর রাসূল! রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আপনার প্রতি নাজিলকৃত সবচেয়ে মর্যাদাসম্পন্ন আয়াত কোনটি? তিনি বললেন, আয়াতুল কুরসি। (নাসাঈ)
এ আয়াতটি ‘আয়াতুল কুরসি কিংবা আল্লাহু দোয়া’ নামেই সব মুসলিমের কাছে বেশি পরিচিত। অনেকেই জানে না যে, এ আয়াতটি নেয়ামত ও ফজিলতে পরিপূর্ণ।
> হজরত আবু উমামা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি প্রত্যেক ফরজ নামাজ শেষে আয়াতুল কুরসি পড়ে, ওই ব্যক্তির জান্নাতে প্রবেশ করতে মৃত্যু ছাড়া আর কোনো বাধা থাকে না।’ (নাসাঈ) অর্থাৎ দুনিয়াতে আয়াতুল কুরসির আমলকারী ব্যক্তি মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে জান্নাতে যাবে।
> হজরত আলি রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি, ‘যে ব্যক্তি প্রত্যেক ফরজ নামাজের পর আয়াতুল কুরসি নিয়মিত পড়ে, তার জান্নাতে প্রবেশে কেবল মৃত্যুই অন্তরায় থাকে। যে ব্যক্তি এ আয়াতটি শোয়ার আগে পড়বে আল্লাহ তার ঘর, তার প্রতিবেশীর ঘর এবং আশপাশের সব ঘরে শান্তি বজায় রাখবেন।’ (বায়হাকি)
> হজরত উবাই ইবনে কাব রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, তোমার কাছে কোরআন মাজিদের কোন আয়াতটি সর্বশ্রেষ্ঠ? তিনি বলেছিলেন, (আল্লাহু লা ইলাহা ইল্লাহু আল্ হাইয়্যুল কাইয়্যুম) তারপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজ হাত তার বুকে রেখে বললেন, আবুল মুনযির! এই ইলমের কারণে তোমাকে ধন্যবাদ।’ (মুসলিম)
> হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, সূরা বাকারায় একটি শ্রেষ্ঠ আয়াত রয়েছে, সেটি হলো আয়াতুল কুরসি। যে ঘরে এটি পাঠ করা হয় সে ঘর থেকে শয়তান পালাতে থাকে।’ (মুসতাদরাকে হাকিম)
> আয়াতুল কুরসির অন্যতম একটি নেয়ামত হলো-
যাদের চোখের দৃষ্টি শক্তি কম বা কোনো কারণে চোখের দৃষ্টি শক্তি হারিয়ে গেছে। তারা যদি প্রত্যেক ফরজ নামাজের পর আয়াতুল কুরসি পড়া শুরু করার পর ‘ওয়া লা ইয়াউদুহু হিফজুহুমা’ পড়ার সময় হাতের আঙুলগুলোকে একত্রিত করে চোখের ওপর রেখে এ বাক্যটি ১১বার পড়ে অতঃপর ‘ওয়া হুয়াল আলিয়্যুল আজিম বলে উভয় হাতের আঙুলে ফুঁ দিয়ে তা চোখের ওপর মুছে দেয়। মহান আল্লাহ তায়ালা তার দৃষ্টি শক্তি ফিরিয়ে দেবেন। আর কারো চোখে কোনো অসুস্থতা থাকলে তা থেকে সুস্থতা দান করবেন।
মহান রাব্বুল আলামিন আল্লাহ তায়ালা মুসলিম উম্মাহকে নিয়মিত পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ নামাজের পর আয়াতুল কুরসির আমল যথাযথভাবে আদায় করার তাওফিক দান করুন। আল্লাহুম্মা আমিন।
নিউজওয়ান২৪/আরএডব্লিউ
- যে দোয়ায় গলার কাঁটা নেমে যাবে ইনশাল্লাহ!
- ফরজ নামাজের পর প্রয়োজনীয় কিছু আমল
- দরুদে ইব্রাহিম
- মা-বাবার জন্য দোয়া
- তাহিয়্যাতুল-মাসজিদ
মসজিদে ঢুকেই দু’রাকাত নামাজ... - পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের সময়সূচি...
- দরুদে ইব্রাহিম
- কোরআন হাদিসের আলোকে জুমা’র দিনের গুরুত্ব ও তাৎপর্য
- ঋণ মুক্তির সর্বোত্তম আমল
- ফজিলতপূর্ণ কিছু দোয়া ও আমলসমূহ
- পবিত্র কোরআনের তথ্যকণিকা
- জুমার দিনের ৩ আমল
- হযরত আদম আ. এর বিয়ের মহর কত ছিল!
- ফেরেশতা পরিচিতি...
- ‘নিশ্চয় নামাজ অশ্লীল ও অন্যায় কাজ থেকে বিরত রাখে’