ঢাকা, ২২ এপ্রিল, ২০২৫
সর্বশেষ:

পদ্মার গর্ভে আরো পাঁচ গ্রাম

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৯:৫০, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮   আপডেট: ২০:২৮, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

পদ্মা নদীর ভাঙনে বিলীন হতে শুরু করেছে মানিকগঞ্জের হরিরামপুরের পাঁচটি গ্রাম। নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে মানিকগঞ্জের বড় বাহাদুরপুর, ছোট বাহাদুরপুর, উজানকান্দি, কদমতলী ও রামকৃষ্ণপুর গ্রামের তিন শতাধিক বাড়ি-ঘর।

ভাঙনের শিকার পরিবারগুলো তাদের ঘর এবং আসবাবপত্র নিয়ে নিরাপদ স্থানে চলে যাচ্ছে। অনেকেই প্রতিবেশীদের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছে। অনেকে সরকারি জায়গায় আশ্রয় নিয়েছেন।

ছোট বাহাদুরপুর গ্রামের দিনমজুর হারেজ আলী জানান, মঙ্গলবার সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি আমার বাড়ির উঠান ও রান্নাঘর নদী গর্ভে চলে গেছে। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত তিনি পরিবারের সদস্যদের নিয়ে একটি টিনের ঘর ও দুটি ছাপড়া ঘর অন্যত্র সরিয়ে নেন। বাড়ির পাশের বাঁশঝারে অস্থায়ীভাবে ঘর তৈরী করে তিনি তার স্ত্রী ও ৩ কন্যাকে নিয়ে বসবাস করছেন।

তিনি বলেন, এখন নতুনভাবে চুলা তৈরি করে রান্না করা খুবেই কষ্টের। একই সাথে বাড়ির পায়খানাটিও নদীতে চলে যাওয়ার আরো কষ্ট দেখা দিয়েছে।

একই গ্রামের দিনমজুর ইউনুস আলী জানান, মঙ্গলবার ভোর বেলা থেকেই তার বাড়ি নদীতে ভাঙছে। তার ৭টি গাছ নদীতে চলে গেছে। একটি মাত্র টিনের ঘর সরিয়ে রাস্তার পাশে গিয়ে তুলছেন। পরিবার-পরিজন নিয়ে তারা মানবেতর জীবন যাপন করছেন।

ওই গ্রামের ৩০টি পরিবার গত এক সপ্তাহে তাদের বসতবাড়ি হারিয়েছেন। এভাবে ভাঙতে থাকলে আগামী এক সপ্তাহে এর সংখ্যা বেড়ে দ্বিগুণ হবে বলে আশংকা করছেন তারা।

গোপীনাথপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল কুদ্দুস জানান, চলতি বছরের ভাঙনে তার এলাকার কমপক্ষে ২০০ বাড়ি-ঘর নদীগর্ভে চলে গেছে। ভাঙনরোধে জিও ব্যাগ না ফেলা হলে আগামী ১ সপ্তাহে আরো ২০০ বাড়ি নদীগর্ভে চলে যাওয়ার আশংকা করছেন তিনি।

এ বিষয়ে হরিরামপুরের ইউএনও মো. ইলিয়াস মেহেদী জানান, তিনি ভাঙনের ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানিয়েছেন। ভাঙনরোধে সেখানে বাঁধ নির্মাণের প্রস্তাব করা হয়েছে।

নিউজওয়ান২৪.কম

আরও পড়ুন
স্বদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত