ঢাকা, ২১ এপ্রিল, ২০২৫
সর্বশেষ:

টেবিলে বসায় ‘স্টারবাকস’, ভারত-পাকিস্তানকে পাশে রাখে ‘সাত্তারবাকশ’

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৯:৩১, ২২ নভেম্বর ২০১৮  

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

সিনেমার গল্পে এমন হরহামেশাই দেখা যায়, যেখানে নায়ক প্রথম জীবনে খুবই গরীব থাকেন। কিন্তু নিজের কঠোর পরিশ্রম আর নায়কোচিত স্বভাব তাকে নিয়ে যায় সাফল্যের চূড়ান্ত শিখরে। আর আমেরিকান কফি ব্র্যান্ড 'স্টারবাকস' এর মালিক হাওয়ার্ড সুলজ এর ব্যতিক্রম নয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ ধনী ব্যক্তিদের অন্যতম তিনি।

এদিকে, আয় এবং মুনাফার ক্ষেত্রে সদ্য সমাপ্ত প্রান্তিকে রেকর্ড করেছে মার্কিন এ কফি চেইনটি। যেখানে নতুন ক্রেতাদের অর্থ খরচ করার প্রবণতাই এই রেকর্ডের মূলে রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।

কেননা এই কফি চেইনটি তাদের একটু হালকা খাবার আর কফির অনন্য স্বাদ মানুষকে এক টেবিলে বসায়। পরিবার বা সহকর্মীদের নিয়ে স্টারবাকসে ঢুঁ মারা যেন এখন নেশা হয়ে গিয়েছে। 

তবে ভাল কিছুকে সবাই অনুসরন করতে চায়। আর তার ব্যতিক্রম নয় পাকিস্তানও। তাই আমেরিকান এই কফি ব্র্যান্ডের আদলে পাকিস্তানে তৈরি করেছে ‘সাত্তারবাকশ’ নামের একটি রেস্টুরেন্ট। আর পাকিস্তানের সবাই এটা জানে, স্টারবাকসের প্যারডি ক্যাফে হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছে ‘সাত্তারবাকশ’। 

তাই বলে এটা যেনতেন কোনো ক্যাফে নয়। করাচির এই চিত্তাকর্ষক ক্যাফেতে রয়েছে মুখরোচক সব মেনু। বিভিন্ন খাবার, বেভারেজ এবং হুকহা এর ব্যবস্থাও রয়েছে এতে। ভোজন রশিকদের মনে ভরাতে এখানে ‘লক পিৎজা’ নামের একটি বিশেষ পিৎজা এখানে রয়েছে। এর অর্ধেক গো মাংসের আর বাকিটা সবজির। 

তবে মজার বিষয় হলো, এই পিৎজার গরুর মাংসের অংশে পাকিস্তানের পতাকা এবং সবজির অংশে ভারতের পতাকা একটি কাঠিতে বসিয়ে পরিবেশন করা হয়। আর এটা হলো প্রতীকী ভাষা। এর অর্থ ভারত ও পাকিস্তান সহাবস্থানে অবস্থান করুক। নিজেদের মধ্যে যত ভিন্নতাই থাক না কেন, পাশাপাশি থাকতে দোষ কোথায়? 

এই প্যারডি ক্যাফের বিরুদ্ধে মামলাও করেছিল স্টারবাকস কর্তৃপক্ষ। কিন্তু ‘সাত্তার বাকশ’ দাবি করে এটা একজন মানুষের নাম। বর্তমান মালিকের দাদার বাবার নাম ছিল সাত্তার বাকশ। আর তিনি যখন বেঁচে ছিলেন তখন তো স্টারবাকসের জন্মই হয়নি! 

নিউজওয়ান২৪/এএস

আরও পড়ুন
বিশ্ব সংবাদ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত