কৃষ্ণাঙ্গ যেখানে ক্রীতদাস শ্বেতাঙ্গ সেখানে বন্দী!

ছবি: আসাদুজ্জামান আসাদ
১৮৬৬ সালের আগস্ট মাসে ‘ন্যাশনাল লেবার ইউনিয়ন’, আট-ঘণ্টা কাজের দিনের প্রস্তাব গ্রহণ করে। ঐ বছরেই সেপ্টেম্বর মাসে প্রথম আন্তর্জাতিকে সম্মেলনে জেনেভা কংগ্রেস ওই দাবির সমর্থনে নিম্নলিখিত বিবৃতি প্রকাশ করে-
“কাজের দিন আইন করে সীমাবদ্ধ করে দেবার ব্যাপারে একটি প্রাথমিক ব্যবস্থা; এই ব্যবস্থা ছাড়া শ্রমিকশ্রেণির উন্নতি ও মুক্তির পরবর্তী সব প্রচেষ্টাই নিষ্ফল হতে বাধ্য।.... কাজের দিন আট-ঘণ্টা আইন করে বেঁধে দেবার প্রস্তাব কংগ্রেস উত্থাপন করছে।”
১৮৬৭ সালে প্রকাশিত ‘ক্যাপিটাল’ গ্রন্থের প্রথম খণ্ডে ‘কাজের দিন’ নামক অধ্যায়ে মার্কস ‘ন্যাশনাল লেবার ইউনিয়ন’-এর উদ্যোগে পরিচালিত আট-ঘণ্টা কাজের দিন কায়েম করবার এই আন্দোলনের দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। নিগ্রো এবং শ্বেতাঙ্গ শ্রমিকদের শ্রেণিস্বার্থের অভিন্নতা সম্পর্কে যেখানে দৃঢ়ভাবে উল্লেখ করা হয়েছে, সেই বিখ্যাত অনুচ্ছেদেই মার্কস লিখেছেন: “ক্রীতদাস প্রথার দরুণ মার্কিন প্রজাতন্ত্রের একটি অংশ বিকলাঙ্গ হয়ে থাকায় এতদিন পর্যন্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে স্বতন্ত্র শ্রমিক-আন্দোলন একেবারে পঙ্গু হয়েছিল। কৃষ্ণাঙ্গ শ্রমিক যেখানে ক্রীতদাস, শ্বেতাঙ্গ শ্রমিক সেখানে নিজেকে মুক্ত করতে পারে না। ক্রীতদাসত্বের সমাধির উপরই নবজীবনের অভ্যুদয় ঘটে। গৃহযুদ্ধের প্রথম অবদান হলো দৈনিক আট-ঘণ্টা আন্দোলন- অবাধ গতিতে এই আন্দোলন ছড়িয়ে পড়েছে আটলান্টিক মহাসাগর থেকে প্রশান্ত মহাসাগর পর্যন্ত নিউ ইংল্যান্ড থেকে ক্যালিফোর্নিয়া অবধি।”
প্রায় একই সময় মাত্র দু-সপ্তাহের ব্যবধানে ব্যালটিমোরের এক শ্রমিক সম্মেলনে আট-ঘণ্টা দৈনিক কাজের পক্ষে ভোট দেওয়া হয়। আর অন্যদিকে সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় অনুষ্ঠিত একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলনে ঠিক এই মর্মেই এক প্রস্তাব গৃহীত হয়: এই ঘটনার দিকে মার্কস সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন: “এইভাবে উৎপাদন অবস্থার স্বতঃস্ফূর্ত পরিণতি হিসাবে আটলান্টিকের দুই পারেই আজ ‘শ্রমিক-আন্দোলন’ কাজের ঘণ্টা কমানোর দাবিকে সমর্থন জানিয়েছেন এবং আট-ঘণ্টা কাজের আওয়াজ তুলে এই দাবিকে সুনির্দিষ্ট আকার দিয়েছেন।”
জেনেভা কংগ্রেসের সিদ্ধান্ত ও মার্কিন সিদ্ধান্তের মধ্যেই যে সঙ্গতিসাধন করা হয়েছিল, তা নিম্নের প্রস্তাব থেকেই বোঝা যাবে: “কাজের ঘণ্টাকে এইভাবে সীমাবদ্ধ করে দেবার দাবি যেহেতু উত্তর আমেরিকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে শ্রমিকদের সাধারণ দাবিতে পরিণত হয়েছে, সেহেতু কংগ্রেস এই দাবিকেই সারা দুনিয়ার শ্রমিকদের সাধারণ দাবি হিসাবে গ্রহণ করছে।”
তেইশ বছর পরে আর একটা আন্তর্জাতিক কংগ্রেসের উপরে আমেরিকার শ্রমিক আন্দোলন ঠিক এইভাবেই এবং ঠিক একই আদর্শের জন্য আর একবার আরও গভীরভাবে প্রভাব বিস্তার করেছিল।
(সংগৃহীত)
নিউজওয়ান২৪.কম/এফবি
- বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী মুসলিম নারী শেখ হাসিনা
- সিরাজুল আলম খান রহস্য, একটি রাজনৈতিক বিতর্ক
- ঘটনা গুরুতর: প্রধান বিচারপতির উত্তরের আশায় পুরো বাংলাদেশ!
- পিরিয়ডের সময় যে খাবারগুলো ক্ষতিকর
- ‘ডোপ টেস্ট’ কী? জেনে নিন...
- দুর্লভ সাদা গোখরাটি জ্যান্ত গিলে খেল অপর সাপকে! (ভিডিও)
- মইনুলকে জানি না তবে মাসুদা ভাট্টি চরিত্রহীন: তসলিমা
- আহ! কাকের বাসা
- উন্মাদের পরিবেশ সচেতনতা কার্টুন প্রদর্শনী শুরু
- র্যাবের নয়া এডিজি কর্নেল আনোয়ার লতিফ খান, পিএসসি
- ৫ বছর আগের কার্টুনের বক্তব্য...
- বিবস্ত্র হয়ে ঘর পরিষ্কার, অতঃপর...
- কেমন যাবে আপনার আজকের দিন
- গরীবের কংকাল ঢাকে ধনবানের স্ফীত উদর!
- রওশনের বাবা নাকি এরশাদ?- প্রথম আলো