ঢাকা, ২১ এপ্রিল, ২০২৫
সর্বশেষ:

‘এদের স্যার মাইরা ফালান, ফাঁসি দেন!’

জেলা সংবাদদাতা

প্রকাশিত: ২৩:২২, ৪ মে ২০১৬   আপডেট: ১৩:০৫, ২১ মে ২০১৬

নূর হোসেন     ফাইল ফটো

নূর হোসেন ফাইল ফটো

নারায়ণগঞ্জ: বুধবার আদালতে সাক্ষীর কাঠগড়ায় দাঁড়িয় কান্নায় ভেঙ্গে পড়লেন নিহত মনিরুজ্জামান স্বপনের স্ত্রী মোর্শেদা আক্তার। নারায়ণগঞ্জে আলোচিত সাতখুনের অন্যতম শিকার ছিলেন তার স্বামী স্বপন।

বআদালতে অঝোরে কাঁদতে কাঁদতে এই বিধবা বিচারকের উদ্দেশ্যে চিৎকার করে বলেন, আমার স্বামীকে যেভাবে নির্মমভাবে মেরেছে নূর হোসেন তাকে সেভাবে নির্মমভাবে মারবেন, স্যার।

আমার মা নাই, বাবা নাই। আমার দুজন মেয়ে সন্তান রয়েছে। আমি বাবাবাড়িতে থাকি। আমার সন্তানরা এতিম হয়ে গেছে। আমি অসুস্থ হয়ে গেছি। এসব খুনিদের ফাঁসি দেন স্যার। তিন বছর ধরে বিচার চলতাছে। এখনও চলতাছে। আমি তো স্যার বাইচচাই মইরা গেছি। এদের স্যার মাইরা ফালান। ফাঁসি দেন স্যার। প্রধানমন্ত্রর সঙ্গে দেখা করছিলাম। প্রধানমন্ত্রী কইছিল, এরশাদ শিকদারও রক্ষা পায়নি। সাত খুনে জড়িতদের ফাঁসি হবে।

সাক্ষ্য দিতে থাকা মোর্শেদার অঝোরধারার অশ্রুবরণের আবহে আদালতে আইনজীবী-দর্শকসহ সবাই বিহ্বল হয়ে পড়েন। প্রথমদিকে আসামি পক্ষের আইনজীবীরা বাদীপক্ষের সাক্ষীকে বিব্রতকর প্রশ্নে জেরবার করতে চাইলেও স্বপনের স্ত্রী মোর্শেদার বুকফাটা কান্নার পরিবেশে পরে তারাও আর বিব্রতকর প্রশ্নে যাননি।

সাক্ষ্য দিয়ে আদালত ত্যাগের সময়েও তিনি কাঁদছিলেন। কাঁদতে কাঁদতেই এই বিধবা আদালত আঙ্গিনায় থাকা লোকজনকে চিৎকার দিয়ে বলতে থাকেন- নূর হোসেনরে আমার কাছে এনে দেন। আমি ওরে মাইরা ফালামু। নূর হোসেন আমার স্বামীকে মারছে।

একপর্যায়ে মোর্শেদার স্বজনরা তাকে অনেকটা জোর করেই আদালত এলাকা থেকে বাড়িতে ফিরিয়ে নিয়ে যান।

বহুল আলোচিত চাঞ্চল্যকর সাতখুনের দুই মামলায় সাত জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয় সোমবার। সেদনি (২ মে) সকাল ৯টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ এনায়েত হোসেনের আদালতে তাদের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। আদালত পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য্য করেন আগামী ৯ মে।

নিউজওয়ান২৪.কম/আরকে

ইত্যাদি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত