ঢাকা, ২২ এপ্রিল, ২০২৫
সর্বশেষ:

অস্ত্রসহ ৬ বনদস্যু বাহিনীর ৪৩ সদস্যের আত্মসমর্পণ

কক্সবাজার প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৮:০২, ২০ অক্টোবর ২০১৮  

ছবি সংগৃহীত

ছবি সংগৃহীত


কক্সবাজারের মহেশখালী ও কুতুবদিয়া উপকুলীয় এলাকার ৬টি বনদস্যু বাহিনীর ৪৩ জন সদস্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মো. আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন। এসময় ৯৪টি অস্ত্র ৭ হাজার ৬৩৭টি গোলাবারুদ হস্তান্তর করা হয়।

শনিবার দুপুর ১২টার দিকে মহেশখালী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে র‍্যাব এই আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। সেখানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মো. আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের উপস্থিতিতে বনদস্যুরা আত্মসমর্পণ করেন। 

এসময় র‍্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ, পুলিশের চট্টগ্রাম বিভাগীয় পুলিশ কর্মকর্তা খন্দকার গোলাম ফারুক, কক্সবাজার-২ আসনের এমপি আশেক উল্লাহ রফিক, কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন, পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা ও সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমানসহ বিভিন্ন নেতারা।

সমাবেশে মহেশখালীর আনজু বাহিনীর ১০ জন সদস্য, ২৪টি অস্ত্র, ৩৪৫ টি গোলাবারুদ, রমিজ বাহিনীর ২ জন, ৮ টি অস্ত্র ১২০ টি গোলাবারুদ, নুরুল আলম ওরফে কালাবদা বাহিনীর ৬ জন, ২৩ টি অস্ত্র, ৩৩৩ টি গোলাবারুদ,  জালাল বাহিনীর ১৫ জন, ২৯ টি অস্ত্র ৬ হাজার ৭৯৮ টি গোলাবারুদ,  আইয়ুব বাহিনীর ৯ জন, ৯টি অস্ত্র ৩৭ টি গোলাবারুদ ও  আলাউদ্দিন বাহিনীর ১ জন, ১ টি  অস্ত্র, ৪টি গোলাবারুদ হস্তান্তর করা হয়।

এর মধ্যে রয়েছে- এসএমজি ১ টি, ব্রিটিশ ৩৪ রিভলবার ১টি, দেশি পিস্তল ২ টি, দেশি একনলা বন্দুক ৫২টি, দেশি দুই নলা বন্দুক ২টি ওয়ান শ্যুটারগান ১৯টি, থ্রি কোয়ার্টার ১৫টি ও ২২ বোর রাইফেল। 

এসময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মো. আসাদুজ্জামান কামাল বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কড়া নির্দেশনা রয়েছে দেশে কোনো অবস্থাতেই মাদক ও অস্ত্রবাজ থাকতে পারবে না। দেশের বিভিন্ন এলাকায় সন্ত্রাসীরা আত্মসমর্পণ করছে। এরই ধারাবাহিকতায় মহেশখালীর উপকূলীয় এলাকার বনদস্যুরা আত্মসমর্পণ করেছে। আমরা দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী এসব বনদস্যুদের স্বাভাবিক জীবনে ফেরার সুযোগ করে দেবো।

মন্ত্রী বলেন, এখনও যারা আত্মসমর্পণ করেননি তাদের এখনও সময় আছে। সুযোগ থাকতে দ্রুত অস্ত্রসহ আত্মসমর্পণ করুন। না হলে কঠোরভাবে দমন করা হবে।

উল্লেখ্য, বছরের পর বছর ধরে কক্সবাজারের উপকূলীয় এলাকাজুড়ে সক্রিয় রয়েছে একাধিক সন্ত্রাসী বাহিনীর শত শত সশস্ত্র সদস্য সাগরে ডাকাতি, হত্যা, লুটরাজ চালিয়ে আসছিল। জলে ও স্থলে তারা সমান তালে দস্যুতা ও সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়ে আসছিল।

নিউজওয়ান২৪/এমএম

আরও পড়ুন
স্বদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত