সন্ত্রাসবাদ সূচক: ১৩০ দেশের মধ্যে বাংলাদেশ ২২ নম্বরে
অপরাধ ডেস্ক
বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদ সূচক ২০১৬ করা হয়েছে বিশ্বের ১৩০টি দেশকে নিয়ে। এই ১৩০ দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান দেখানো হয়েছে ২২তম। এর আগের বছর এ সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ২৫তম।
প্রতিবেদন মতে, গত বছর বিশ্বে সংঘটিত মোট সন্ত্রাসী ঘটনার ৪ শতাংশ সংঘটিত হয়েছে বাংলাদেশে। আর সবচেয়ে বেশি ২০% ঘটেছে ইরাকে।
অস্ট্রেলিয়ার সিডনিভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ইনস্টিটিউট ফর ইকোনমিক অ্যান্ড পিস (আইইপি) বুধবার তাদের ২০১৬ সালের বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদ সূচক প্রকাশ করে।
২০১৫ সালে সংঘটিত সন্ত্রাসী ঘটনার ওপর ভিত্তি করে এবারের প্রতিবেদন তৈরি করেছে বলে জানায় সংস্থাটি। এতে আরও বলা হয়, গত বছর বিশ্বের প্রায় অর্ধেক সন্ত্রাসী ঘটনাই ঘটেছে ইরাক, আফগানিস্তান, পাকিস্তান ও ভারতে।
সূচকের প্রথম নামটি ইরাক।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে গত বছর সংঘটিত সন্ত্রাসী ঘটনার শতকরা ২০ ভাগই ঘটেছে মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ ইরাকে। এছাড়া আফগানিস্তানে ১৪, পাকিস্তানে ৮ এবং ভারতে ঘটেছে ৭ শতাংশ ঘটনা।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৫ সালটি ছিল বাংলাদেশের জন্য খুবই কঠিন। বিগত দেড় দশকের মধ্যে গত বছরই বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি সন্ত্রাসী ঘটনা ঘটে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। সবচেয়ে বেশি সন্ত্রাসী ঘটনা ঘটা চারটি দেশের পরে যে ছয়টি দেশে বেশি সংখ্যায় সন্ত্রাসী ঘটনা ঘটেছে, এর মধ্যে আছে বাংলাদেশ। অন্য দেশগুলো হলো কুয়েত, তিউনিসিয়া, সৌদি আরব, ফ্রান্স ও তুরস্ক।
প্রতিবেদন মোতাবেক ২০১৫ সালে বাংলাদেশে মোট ৪৫৯টি সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে। এতে নিহত হয় ৭৫ জন। বাংলাদেশে বেশির ভাগ সন্ত্রাসী ঘটনাই জামাআতুল মুজাহিদীনের মতো স্থানীয় সংগঠনের মাধ্যমে ঘটে। নিষিদ্ধ এই সংগঠনটি চলতি বছরের ১ জুলাই গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলার জন্য অভিযুক্ত। ওই হামলায় মোট ২৯ জন নিহত হয়।
অবশ্য ইনস্টিটিউট ফর ইকোনমিক অ্যান্ড পিসের প্রতিবেদনে গত বছর ৪৫৯টি সন্ত্রাসী হামলার কথা বলা হলেও দেশি গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী এ সংখ্যা ছিল ২৮টি। এসবে নিহত হয় ৩০ জন। এর মধ্যে মধ্যপ্রাচ্যে সক্রিয় জঙ্গি সংগঠন আইএস ১১টি হামলার দায় স্বীকার করে। আর আনসার আল ইসলাম দায় স্বীকার করে ছয়টির। এই জঙ্গি সংগঠনটি নিজেদের আল-কায়েদার ভারতীয় শাখা বলে দাবি করে।
তবে জঙ্গি সংগঠন দুটি এসব হামলার দায় স্বীকার করলেও বাংলাদেশ সরকার এসবে বিদেশি জঙ্গি সংগঠনের জড়িত থাকার দাবি প্রত্যাখ্যান করে এসেছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে বিভিন্ন সময় গণমাধ্যমকে জানানো হয়েছে, বেশির ভাগ সন্ত্রাসী ঘটনার সঙ্গে ‘নব্য জেএমবি’ ও আনসার আল ইসলাম বা আনসারুল্লাহ বাংলা টিম জড়িত।
নিউজওয়ান২৪.কম/আরকে
- ধূর্ত খুনী ধরতে শ্বাসরুদ্ধকর অভিযান!
- পলাতক সেনা কমান্ডো ক্যাপ্টেন উদ্ভাস গ্রেপ্তার
- হায়রে পিশাচ মা!
- জাল ভিসা-পাসপোর্ট সহ ৮ নারী পাচারকারী আটক, উদ্ধার ৪
- প্রতিশোধ নিতে ভাড়াটিয়া ও দারোয়ান হত্যা করে সেনাকর্মকর্তার মাকে!
- মোবাইল চুরি: লোহাগাড়ায় পিটিয়ে যুবক হত্যা, আটক ১৪
- এক নজরে খেলাধুলা: ৬ অক্টোবর, ২০১৮
- ক্রিকেট খেলতে নিষেধ করায় শিক্ষককে কোপালো বখাটে
- নূর হোসেন লাপাতা
বাড়ি থেকে আটক ৩, গাড়ি জব্দ - ‘গুলশান সংকটের’ আরেক বলি হলেন ডিবির এসি রবিউল
- কঠোর অবস্থানে সরকার
ডিএমপির অ্যান্টি-কিডন্যাপিং স্কোয়াড - বেকারদের সঙ্গে প্রতারণা: সেনা-পুলিশের প্রাক্তন ছয় সদস্য আটক
- লোভনীয় বিজ্ঞাপন ফাঁদে নষ্ট হচ্ছে বেকার-যুবকদের স্বপ্ন
- যেভাবে পাওয়া গেল উত্তরার খালে অস্ত্র-গুলির খোঁজ
- এলেমদার প্রতারক: মক্কেলদের চড়াতেন প্লেনে রাখতেন রেডিসনে