শিশুর দাঁত ও মাড়ির যত্নে যা করতে হবে
লাইফস্টাইল ডেস্ক
ফাইল ছবি
ছোট্ট শিশুর দাঁত ওঠার সময়টা পরবর্তী সময়ের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। এ সময়ের যত্নই বলে দেয় শিশুর স্থায়ী দাঁত কতটা সুস্থ থাকবে। এ সময়ে কোনও রকম অবহেলা হলে ক্ষতি হতে পারে শিশুর দাঁত ও মাড়ির। জন্মের পরপরই শিশুদের দাঁত দৃষ্টিগোচর না হলেও মূলত মায়ের গর্ভে থাকাকালীনই দাঁত উঠতে থাকে। তাই জন্মের পর মাড়ির যত্ন নিতে হবে সঠিকভাবে। আর শিশু ধীরে ধীরে বড় হতে থাকাকালীন সময়ে তাঁকে দাঁতের সুস্থতার গুরুত্ব বুঝিয়ে শিখাতে হবে যত্ন নেওয়াও।
ছোট্ট শিশুর দাঁত ওঠার আগে করণীয়
- শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ানোর শেষে পরিচ্ছন্ন ও জীবাণুমুক্ত পাতলা সুতি কাপড় অথবা তুলা দিয়ে মাড়ির ওপর থেকে দুধের আবরণ মুছে দিন।
- পরিপূর্ণভাবে দাঁত ওঠার আগে শিশু সামনে যা পায় তাই সাধারণত কামড়াতে চায়। এ সময় তাকে বেবি টিথার দেওয়া যেতে পারে। এটি কামড়ালে শিশুর দাঁত মজবুত আর শক্ত হবে।
- বাড়িতে থাকা বিষাক্ত, ধারালো, নোংরা জিনিস বা ওষুধপত্র অবশ্যই শিশুর নাগালের বাইরে রাখুন। অসাবধানতাবশত এসব কিছু গিলে ফেললে শিশুর গলায় আটকে গিয়ে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
শিশুর দাঁত ওঠার পরে করণীয়
- দাঁত ওঠার সময় থেকে শিশুকে ধীরে ধীরে ব্রাশ করার অভ্যাস করানোর চেষ্টা করতে হবে।
- দাঁত ওঠার শুরুতেই শিশুকে কমল ও নরম ব্রাশ দিন।
- খেয়াল রাখবেন শিশুর ব্রাশ করার জন্য যেটি ব্যবহার করছেন সেটি যেন বেবি জেল অথবা বেবি পেস্ট হয়। শিশু ভুলবশত গিলে ফেললেও ক্ষতি হবে না এতে।
- শিশু বড় হওয়ার সাথে সাথে পদ্ধতি মেনে সঠিক নিয়মে ব্রাশ করা শেখান।।
শিশুর দাঁতের যত্নে কিছু করণীয়:
- দাঁত ওঠার আগে থেকেই নবজাতক শিশুর মুখ ও মাড়ি নিয়মিত পরিষ্কার রাখতে হবে।
- বুকের দুধ খাওয়ানো শেষ হলে পাতলা সুতি কাপড় অথবা তুলা দিয়ে দাঁতের ওপর থেকে দুধের আবরণ পরিষ্কার করে মুছে দিন।
- সুস্থ দাঁতের জন্য শিশুকে ফিডার খাওয়ার অভ্যাস থেকে দূরে রাখতে হবে। না হলে নবজাতকের দুধদাঁতেও ক্যারিজ বা ক্ষয় হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়।
- মিষ্টি খাবার খাওয়ার পর শিশুর মুখ ভালোভাবে পরিষ্কার করে দিন।
- খেয়াল রাখবেন শিশু যে ব্রাশ ব্যবহার করছে তার বয়স যেন ২-৩ মাসের বেশি না হয়ে যায়।
- ছোটবেলা থেকেই শিশুকে মাউথ ওয়াশ এবং ফ্লসিং করা শেখাবেন।
- শিশুর মুখে দুর্গন্ধ হলে অথবা দাঁতে কালো দাগ দেখা দিলে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
- সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর এবং রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে শিশুকে দাঁত ব্রাশ করানতে অভ্যস্ত করুন।
শিশু নিজের দাঁতের যত্ন নিজে বুঝবে না এটাই স্বাভাবিক। এক্ষেত্রে সচেতন থাকতে হবে বাবা-মাকেই। নাহলে অল্প বয়সেই শিশুর দাঁতের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে খুব বেশি। সন্তানের দাঁতের বেলায় কোনও রকম অস্বাভাবিক ব্যাপার চোখে পড়লে দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
নিউজওয়ান২৪/ইরু
- অ্যাজমা চিকিৎসায় হোমিও সমাধান
- ছেলেদের যে অঙ্গগুলো পছন্দ মেয়েদের
- কুমারীত্ব...
- ঝাড়-ফুঁকে সাপ কামড়ানো রোগী ‘ভালো হয় যেভাবে’
- যৌনমিলন দীর্ঘস্থায়ী করার উপায়
- স্ত্রী হিসেবে মোটা মেয়েরাই ভালো!
- আকষ্মিক হার্ট অ্যাটাক! অন্যের সাহায্য ছাড়াই যেভাবে বাঁচাবেন নিজকে
- প্রয়োজনীয় যে সব ওষুধ...
- অলস বাবুদের জন্য সুখবর: আসছে কাপড় ভাঁজ করার মেশিন!
- যৌনতা বিষয়ে যে জিনিসগুলো জেনে রাখা জরুরি
- নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করার কৌশল
- আফ্রিকার ‘যমরাজ’ ব্লাক মাম্বা
- শারীরিক মিলনের পর করণীয় কিছু...
- শিশুকে ফ্লাইং কিস: আমিরাতি তরুণের জেল
- টাইফয়েডের নতুন টিকায় ১০ জনের ৯ জনই বাঁচবে