ঢাকা, ২৪ নভেম্বর, ২০২৪
সর্বশেষ:

যে কারণে বাংলাদেশে জি বাংলা বন্ধ

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৩:১৮, ৩ এপ্রিল ২০১৯  

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

ক্যাবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক পরিচালনা আইন,২০০৬’ এর উপধারা-১৯(১৩) এর বিধান অনুযায়ী,বাংলাদেশের দর্শকদের জন্য বিদেশি কোনও চ্যানেলের মাধ্যমে বিজ্ঞাপন দেখানো দণ্ডনীয় অপরাধ। 

এই আইনের বাস্তবায়নের জন্য গত শনিবার তথ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সভায় বসেছিলেন দেশের বেসরকারি টেলিভিশনের কর্তারা। রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে   ‘সংকটে বেসরকারি টেলিভিশন’ শীর্ষক এই গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করে সম্প্রচার সাংবাদিক কেন্দ্র।  গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তথ্যমন্ত্রী এই আইন বাস্তবায়নের পক্ষে কথা বলেন।

সেখানে তথ্যমন্ত্রী কেবল অপারেটরদের উদ্দেশে বলেন, ডাউন লিংক করে বিদেশি চ্যানেলে বিজ্ঞাপন দেখানো দণ্ডনীয় অপরাধ। শুধু এ–সংক্রান্ত আইন যথাযথভাবে মানা হলে বছরে দেশে ৫০০ কোটি টাকা বাড়বে। তিনি টেলিভিশনে বিদ্যমান সমস্যার কথা ইঙ্গিত করে বলেন, ‘টিভিশিল্পকে সুরক্ষা দিতে আসুন সবাই একযোগে কাজ করি।’

এরপর ক্যাবল অপারেটরদের সংগঠনকে এই নির্দেশ পালন করতে বলা হয় তথ্যমন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে। ক্যাবল অপারেটর প্রতিষ্ঠান 'জাদু ডিজিটালের' কাস্টমার সার্ভিস কর্মকর্তা ফয়সাল আহমেদ জানান, তথ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশক্রমে বাংলাদেশে চ্যানেলগুলো বন্ধ রাখা হয়েছে।

তবে এই সিদ্ধান্তের বিরোধীতা করে ক্যাবল অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (কোয়াব) এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এস এম আনোয়ার পারভেজ কালের কণ্ঠকে বলেন, 'কোনো বিষয়কে এইভাবে প্রতিরোধ করে ফল পাওয়া যাবে না। আপনি কীভাবে ইউটিউব বন্ধ করবেন? আমাদের প্রথমে বলা হলো দেশি বিজ্ঞাপন দেখানো যাবে না। পরে বলা হলো কোনো বিদেশি বিজ্ঞাপনও দেখানো যাবে না। এভাবে কোনো পে চ্যানেল চালানো সম্ভব না।'

চাইলে জি বাংলাসহ সকল বিদেশি চ্যানেল চালানো সম্ভব কিন্তু কোয়াব বলছে পে চ্যানেলগুলো বিজ্ঞাপন সম্প্রচার ছাড়া এই দেশে চালাতে দেবে চ্যানেল কর্তৃপক্ষ। ফলে কোয়াবের মতে বিজ্ঞাপনসহ ওই চ্যানেলগুলো চালাতে হবে। কিন্তু তথ্য মন্ত্রণালয় বিজ্ঞাপনসহ কোনোভাবেই চ্যানেলগুলো সম্প্রচার কার্যক্রম চালাতে দেবে না। এর অংশ হিসেবে কোয়াব বা ক্যাবল অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ প্রথমে জি বাংলাসহ জি নেটওয়ার্কের চ্যানেলগুলো একদম বন্ধ করে দিয়েছে। পরবর্তীতে বাকি বিদেশি চ্যানেলগুলোও বন্ধের কথা জানিয়েছে সংগঠন।  

নিউজওয়ান২৪/ইরু