যাত্রাবাড়ী থানার ওসিসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা
নিজস্ব প্রতিবেদক
ফাইল ছবি
দলবেঁধে ধর্ষণের’ শিকার হওয়ার পর পুলিশের কাছে গিয়ে ‘ঘুষের টাকা’ দিতে না পারায় উল্টো ‘যৌনকর্মী’ হিসেবে আদালতে পাঠানোর অভিযোগ তুলে যাত্রাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওয়াজেদ আলী মিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন এক নারী।
আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩-এর বিচারক জয়শ্রী সমাদ্দারের আদালতে মামলাটি করেন একজন নারী।
বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে মামলার বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেন আদালত।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন, যাত্রাবাড়ী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আ স ম মাহমুদুল হাসান ও মোছা. লাইজু এবং মো. শফিকুল ইসলাম রনি, মো. সাগর, মো. শামীম, মো. আলাউদ্দিন দেলোয়ার হোসেন, মো. হানিফ, মো. স্বপন, বিলকিস আক্তার শিলা ও ফারজানা আক্তার শশী।
মামলার এজাহারে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে অপহরণ ও গণধর্ষণের অভিযোগ থাকলেও অভিযোগের বর্ণনায় ওসি এবং দুই এসআইয়ের বিরুদ্ধে অপহরণ ও গণধর্ষণের কোনো অভিযোগ নেই।
মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে যাত্রাবাড়ী থানার ওসি কাজী ওয়াজেদ আলী বলেন, 'একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে শুনেছি। অভিযোগ তো যে কেউই করতে পারে। তবে তার সত্যতা কতটুকু, সেটা দেখার বিষয়। মামলার বিবরনীর কপি এখনও হাতে পাইনি। কপি পেলে এই বিষয়ে বিস্তারিত মন্তব্য করতে পারব।'
এ বিষয়ে মামলার বাদী ভুক্তভোগী ওই নারী জানান, মামলার ১ নম্বর আসামি শফিকের সঙ্গে গার্মেন্টেS কাজের সূত্রে তার পরিচয়। শফিক কৌশলে বেশি বেতনের চাকরির লোভ দেখিয়ে সেদিন তাকে ওই বাসায় নিয়ে গিয়েছিল। এরপর বাড়ি ওয়ালার ছেলেসহ কয়েকজন তাকে 'ধর্ষণ' করে। পরে ওই বাসা থেকে পালিয়ে বের হয়ে রেজাউল নামের এক মানবাধিকার কর্মীর সহায়তায় থানায় যান তিনি। কিন্তু প্রথম দিনে ওসিকে না পেয়ে পরের দিন আবার থানায় যান তিনি।
ওই নারী জানান, পরের দিন থানার এক নারী এসআই তার ঘটনা শুনে ওই বাসায় যান। এরপর ইয়াবাসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করেন। পরে থানায় এসে ভিকটিমের কাছে এক লাখ টাকা ঘুষ চান নারী এসআই। ঘুষ না পেয়ে তাকে একটি মামলায় অন্যদের সঙ্গে আদালতে চালান করে দেন। পরে জামিনে বেরিয়ে এসে আদালতে মামলটি দায়ের করেছেন তিনি।
তবে যে মানবাধিকার কর্মীর সহায়তায় ভুক্তভোগী ওই নারী আদালতে মামলাটি করেছেন, তার কোনো ঠিকানা বলতে পারেননি তিনি। এমনকি সেই মানবাধিকার সংস্থার নাম বা অফিসের ঠিকানা কিছুই বলতে পারনি ভুক্তভোগী নারী।
সর্বশেষ ওই নারীর কাছে সংশ্লিষ্ট সেই মানবাধিকার সংস্থার কোনো ব্যক্তির মোবাইল নম্বর চাওয়া হলে তিনি বলেন, 'ওই মানবাধিকারের কারও মোবাইল নম্বরই আমার কাছে নেই।’
- ধূর্ত খুনী ধরতে শ্বাসরুদ্ধকর অভিযান!
- পলাতক সেনা কমান্ডো ক্যাপ্টেন উদ্ভাস গ্রেপ্তার
- হায়রে পিশাচ মা!
- জাল ভিসা-পাসপোর্ট সহ ৮ নারী পাচারকারী আটক, উদ্ধার ৪
- প্রতিশোধ নিতে ভাড়াটিয়া ও দারোয়ান হত্যা করে সেনাকর্মকর্তার মাকে!
- মোবাইল চুরি: লোহাগাড়ায় পিটিয়ে যুবক হত্যা, আটক ১৪
- এক নজরে খেলাধুলা: ৬ অক্টোবর, ২০১৮
- ক্রিকেট খেলতে নিষেধ করায় শিক্ষককে কোপালো বখাটে
- নূর হোসেন লাপাতা
বাড়ি থেকে আটক ৩, গাড়ি জব্দ - ‘গুলশান সংকটের’ আরেক বলি হলেন ডিবির এসি রবিউল
- কঠোর অবস্থানে সরকার
ডিএমপির অ্যান্টি-কিডন্যাপিং স্কোয়াড - বেকারদের সঙ্গে প্রতারণা: সেনা-পুলিশের প্রাক্তন ছয় সদস্য আটক
- লোভনীয় বিজ্ঞাপন ফাঁদে নষ্ট হচ্ছে বেকার-যুবকদের স্বপ্ন
- যেভাবে পাওয়া গেল উত্তরার খালে অস্ত্র-গুলির খোঁজ
- এলেমদার প্রতারক: মক্কেলদের চড়াতেন প্লেনে রাখতেন রেডিসনে