ঢাকা, ২১ নভেম্বর, ২০২৪
সর্বশেষ:

মোবাইলে কথার জেরে স্ত্রীকে জাবাই

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ০০:২৫, ২৩ মার্চ ২০১৯  

ছবি সংগৃহীত

ছবি সংগৃহীত

স্ত্রী প্রজ্ঞা মোবাইল ফোনে কথা বলতেন। এতে সন্দেহ হয় স্বামী বিদেশ ফেরত মাহতাবের। এ নিয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়াঝাঁটিও হতো। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা রূপ নিলো নৃশংসতায়।

কিশোরগঞ্জ জেলার করিমগঞ্জ উপজেলায় প্রজ্ঞা মোস্তফা (২৬) নামের ওই গৃহধূকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে জবাই করে হত্যা করেছেন তারই স্বামী দেলোয়ার হোসেন মাহতাব (৩২)। মাহতাব দীর্ঘদিন কুয়েত প্রবাসী ছিলেন।

বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার কাদিরজঙ্গল ইউনিয়নের উত্তর চাঁনপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ ঘাতক স্বামী দেলোয়ার হোসেন মাহতাবকে গ্রেফতার করেছে। করিমগঞ্জ থানা পুলিশের ওসি মো. মুজিবুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

নিহতের পরিবারের লোকজন জানান, করিমগঞ্জ উপজেলার কাদিরজঙ্গল উত্তর চাঁনপুর গ্রামের মৃত ইমাম উদ্দিনের ছেলে দেলোয়ার হোসেন মাহতাবের সঙ্গে বিয়ে হয় ইটনা উপজেলার লাইমপাশা গ্রামের বাসিন্দা স্কুলশিক্ষক আহসান মোস্তফার মেয়ে প্রজ্ঞা মোস্তফার। বিয়ের মাস পার হতে না হতেই বাবার বাড়ি থেকে যৌতুক এনে দেয়ার দাবিতে প্রজ্ঞার ওপর অত্যাচার ও নির্যাতন শুরু করেন দেলোয়ার।

বৃহস্পতিবার দুপুরে যৌতুকের টাকার জন্য স্ত্রীকে বকাঝকা করেন দেলোয়ার। এক পর্যায়ে ধারালো ছুরি দিয়ে জবাই করে প্রজ্ঞা মোস্তফাকে হত্যা করেন দেলোয়ার হোসেন মাহতাব।

অপর একটি সূত্র বলছে, মোবাইল ফোনে কথা বলাকে কেন্দ্র করে মাহতাব স্ত্রী প্রজ্ঞাকে সন্দেহ করতো এবং এই নিয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়াঝাঁটি হতো। বৃহস্পতিবার এ নিয়ে দুইজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি এবং হাতাহাতি হয়। এক পর্যায়ে স্বামী মাহতাব গরু জবাই করার ছুরি দিয়ে স্ত্রী প্রজ্ঞার মাথা ও ঘাড়ে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।

নিহত প্রজ্ঞা মোস্তফা কিশোরগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজের সমাজকল্যাণ বিষয়ে অনার্স ফাইনাল ইয়ারের ছাত্রী ছিলেন। ছয় বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন পঞ্চম। মাত্র তিন মাস বয়সী একটি শিশু সন্তান রয়েছে প্রজ্ঞা মোস্তফার।

করিমগঞ্জ থানা পুলিশের ওসি মো. মুজিবুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। পালিয়ে যাওয়ার সময় গ্রেফতার করা হয় ঘাতক দেলোয়ারকে। উদ্ধার করা হয় হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরিটি। যৌতুকের জন্য স্ত্রী হত্যার কথা স্বীকার করেছে দেলোয়ার হোসেন মাহতাব।

প্রজ্ঞার বাবা আজমিরীগঞ্জ এবিসি সরকারি মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আহসান মোস্তফা বলেন, বিয়ের পর থেকে দেলোয়ারের আসল চেহারা টের পাই। সে দুই লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে আমার মেয়ের ওপর অকারণে নির্যাতন করতো। আমি আমার মেয়ের হত্যাকারীর ফাঁসি চাই।

নিউজওয়ান২৪/ইরু

আরও পড়ুন
অপরাধ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত