বেতন তাদের আকাশ ছোঁয়া, কিন্তু কাজটি ‘অদ্ভুদ’
সাতরং ডেস্ক
ফাইল ছবি
চাকরি নিয়ে চিন্তা করেন না; এমন লোক খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। কেউ ছুটে বেড়ান কোনরকম একটা চাকরির খোঁজে, কেউ নিজের চাকরি পছন্দ নয় বলে ইন্টেরেস্টিং কোন চাকরির সন্ধান করেন। কিন্তু এমন অনেক চাকরি আছে দুনিয়ায়, যেখানে কাজের ধরণটা অদ্ভুত বা হাস্যকর হলেও এসব চাকরির বেতনের পরিমাণ কল্পনাতীত।
দুনিয়াজুড়ে সেরকমই অদ্ভুত কিছু চাকরির খবর জেনে নিন-
১। সাবমেরিন কুকঃ পানির নিচে চলার উপযোগী জলযান সাবমেরিনের রান্না ঘরের দায়িত্বে থাকেন এরা। তাদের খুবই সাবধানে কাজ করতে হয়। সাবমেরিনের পানির তলায় যেকোনো যান্ত্রিক শব্দকে ডিটেক্ট করে থাকে। তাই ব্লেন্ডার মেশিন বা রুটি মেকার যাতে বেশি নয়েজ না করে সেদিকে খেয়াল রাখতে হয়। একজন সাবমেরিন কুকের বেতন বছরে ২ লক্ষ ডলার বা ১ কোটি ৭০ লাখ টাকা!
২। চকলেট টেস্টারঃ একজন চকলেট টেস্টারের কাজ হলো তার কোম্পানির তৈরি চকলেটগুলো টেস্ট করে দেখা, সেগুলোর স্বাদ ঠিক করে চেক করা। যদি বাড়তি কিছু সংযোজনের প্রয়োজন হয়, তার সাজেশন দেয়া। গড়ে একজন চকলেট টেস্টার বছরে আয় করেন ৭৩,৭৮৩ ডলার, প্রায় ৬৩ লাখ টাকা!
তবে রিডারস ডাইজেস্টের সঙ্গে কথোপকথনে একজন চকোলেট টেস্টার বলেন, কাজটা যতট সহজ ভাবা হয় ততটা একেবারেই নয়। আমাকে একটি বদ্ধ রুমের ভেতর বসে কাজ করতে হয়, কলিগদের কারো সাথে কথা বলার কোন সুযোগ নেই। আমার রুমে শুধু একটি লাল রঙের ডিম লাইট জ্বলতে থাকে, যাতে আমি চকোলেটগুলোকে নয়া দেখতে পারি, শুধু খেয়েই চেক করতে পারি; অন্য কোন উপায়ে নয়। আর আমার কাজ আসলে চকোলেট খাওয়া নয়, টেস্ট করা।
৩। আরমপিট স্নিফারঃ একজন আরমপীট স্নিফারের কাজ হলো সোজা বাংলায় `বগলের গন্ধ শোঁকা` । শুনতে ঘিনঘিনে লাগলেও এটাই সত্যি। বিভিন্ন সুগন্ধি কোম্পানিগুলো সত্যিই তাদের প্রোডাক্টগুলো ভালো হচ্ছে কিনা এসবের জন্য কিছু আরমপিট স্নিফার স্থায়ীভাবে নিয়োগ দেয়। একজন আরমপিট স্নিফারের বেতন বাংলাদেশি টাকায় ১৬ লাখ থেকে ৪৪ লাখ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।
৪। লিভিং স্ট্যাচু বা কাকতাড়ুয়া মানবঃ কাকতাড়ুয়া মানবের কাজ হচ্ছে শুধু সোজা হয়ে দাড়িয়ে থাকা। নো নড়ন চড়ন। কখনো তারা কোন শিল্পীর মডেল হিসেবে পোজ দেয়, কখনো গায় রংচং মেখে কোন রেস্টুরেন্ট বা পার্কে স্ট্যাচু হয়ে দাড়িয়ে যায়। কাকতাড়ুয়া মানবের বার্ষিক আয় কিন্তু কম নয় মোটেই। বছরে ৬৭০০০ ডলার; প্রায় ৫৭ লাখ টাকা।
৫।পারসোনাল স্নাগারঃ এদের কাজ শুধু ক্লায়েন্টকে জড়িয়ে ধরে থাকা বা আলিঙ্গন করা। প্রতিদিন ৯০ মিনিট এরা ক্লায়ন্টদের আলিঙ্গনে বেধে রাখে। মজার ব্যাপার হলো স্নাগাররা ক্লায়েন্টদের কাছে যান না, বরং ক্লায়েন্টদেরই স্নাগারদের কাছে যেতে হয়। একজন পারসোনাল স্নাগারের বাৎসরিক আয় প্রায় ৬০ হাজার ডলার বা ৫০ লাখ টাকা।
৬। বেড টেস্টারঃ অলস মানুষের জন্য উপযুক্ত একটি চাকরি। সারাদিন বিছানায় শুয়ে বিছানাটি কতটা আরামদায়ক তারই রিপোর্ট দিতে হয়। বেতন কত জানেন? বছরে ৫৩০০০ ডলার বা ৪৫ লাখ টাকা!
৭। পারসোনাল শপারঃ এদের কাজ হচ্ছে ফ্যাশন সচেতন মানুষদের ট্রেন্ডি স্টাইলিশ সঠিক পোশাকটি পছন্দ করে দেয়া। একজন পারসোনাল শপার বছরে ৪০ হাজার ডলার বা ৩৫ লাখ টাকার মতো আয় করে থাকেন।
৮। লিপস্টিক রিডারঃ কফি রিডিং এর কাজ অনেক পুরনো হলেও লিপস্টিক রিডারের কনসেপ্টটা নতুনই বলা চলে। শৌখিন মহিলাদের সুন্দর করে লিপস্টিক পড়িয়ে দেয়াই একজন পেশাদার লিপস্টিক রিডারের কাজ। এই কাজে ঘণ্টা প্রতি আয় ২৫ থেকে ৫০ ডলার।
৯। ফেইস ফিলারঃ একজন ফেস ফিলার তার ক্লায়েন্টের মুখের স্কিনে হাত দিয়ে তার মুখের চামড়ার আর্দ্রতা, কোমলতা, তৈলাক্ততা অনুভব করে। ক্লায়েন্ট নতুন কোন স্কিন প্রোডাক্ট ব্যবহারের পর তার চামড়া স্পর্শ করে স্কিন ফিলার প্রোডাক্টটি সম্পর্কে রিপোর্ট তৈরি করে। ফেইস ফিলারের আয় ঘণ্টাপ্রতি প্রায় ২৫ ডলার।
নিউজওয়ান২৪/এএস
- বাঙালির বংশ পদবীর ইতিহাস
- গন্ধভাদালি লতার উপকারিতা
- ‘ময়ূর সিংহাসন’
- মিশরীয় সভ্যতা এবং নীল নদ
- মধ্যযুগের ইতিহাস
- ব্যবহারের আগে জানুন প্লাস্টিক বোতলে চিহ্নের মানে কী
- পবিত্র কাবা শরীফের অজানা যত তথ্য
- হ্যালুসিনেশন আসলে কী, রোগ না অন্য কিছু?
- পিরামিডের অজানা তথ্য…
- বিকাশ নগদ এবং রকেট’র ভুল নম্বরে টাকা চলে গেলে ফেরত পাবেন যেভাবে
- চুম্বকের আদ্যোপান্ত...
- ‘চুম্বন’ আদর ও ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ
- ‘রক্ত’ রঙের রহস্য...
- ‘ধানমন্ডি’ নামকরণের ইতিহাস
- মানুষের পর বুদ্ধিমান প্রাণী...