ঢাকা, ২৯ নভেম্বর, ২০২৪
সর্বশেষ:

পাঁচ পেসারের পরীক্ষা কতোটা সফল?

স্পোর্টস ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৩:১৬, ২৭ অক্টোবর ২০১৮  

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে বাংলাদেশ দল ব্যাপক পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নামে। এশিয়া কাপের পর দলে ফেরেন সৌম্য সরকার ও আবু হায়দার রনি। এছাড়াও ওয়ানডে অভিষেক হয় পেস বোলিং অলরাউন্ডার আরিফুল হকের। মাশরাফি ও রনির পাশাপাশি তিনজন পেস বোলিং অলরাউন্ডার নিয়ে দল গঠন করে বাংলাদেশ। সাইফুদ্দিন, আরিফুল ও সৌম্য সরকার। বাংলাদেশ দলে এতদিন যে পেস বোলিং অলরাউন্ডারের ঘাটতি ছিল, দীর্ঘদিন পরে সে ঘাটতি কিছুটা হলেও এই তিনজনের সাফল্যে পূরণ হবে বলেই মনে করছে ক্রিকেট প্রেমীরা। যদিও শেষ ওয়ানডেতে বাংলাদেশের বোলাররা ছিলেন ব্যর্থ।  

আরিফুল হক দীর্ঘদিন জাতীয় দলের স্কোয়াডে থেকেও সেরা একাদশে জায়গা পাচ্ছিলেন না। একাদশ নির্বাচনে তাকে সুযোগ দেয়া কঠিন ছিল নির্বাচকদের জন্য। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে নির্বাচকদের বিবেচনায় একাদশে জায়গা করেন নেন সদ্য টেস্ট স্কোয়াডে ডাক পাওয়া এই অলরাউন্ডার। স্পিন অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজের পরিবর্তে আরিফুল হক দলে সুযোগ পান।

পেসার মোস্তাফিজুর রহমানের পরিবর্তে দলে জায়গা হয় বাহাতি আরেক পেসার আবু হায়দার রনি। আফগানিস্তানের বিপক্ষে এশিয়া কাপে দারুণ পারফর্ম করা রনি এই সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে একাদশে জায়গা পাননি। গতকাল ইনিংসের শুরুতেই দলকে উইকেট এনে দেন এই পেসার।

মোহাম্মদ সাইফুদ্দিনও আছেন দারুণ ফর্মে। প্রথম ম্যাচে দলকে শক্ত পুঁজি গড়তে করেন হাফ সেঞ্চুরি। দ্বিতীয় ম্যচে দারুণ বল করে পেয়েছেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার।

সব মিলিয়ে শেষ ওয়ানডেতে পাঁচজন পেস বোলার নিয়ে পরিক্ষার মূল কারণ বিশ্বকাপের প্রস্তুতি। আগামী বছর ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপে পেস বান্ধব উইকেটের জন্যই পেস বোলারদের নিয়ে বাংলাদেশের এমন পরীক্ষা। তবে পরীক্ষার ফলাফল হয়তো অনেকটাই হতাশ করবে নির্বাচকদের।

পেসারদের মধ্যে সবচেয়ে কম খরুচে বোলার ছিলেন আবু হায়দার রনি। ৯ ওভারে ১ মেডেনে ৩৯ রান দিয়ে মাত্র ১ উইকেট দখল করেন আবু হায়দায়। গত ম্যাচের নায়ক সাইফুদ্দিন ছিলেন পুরোপুরি ব্যর্থ। ১০ ওভারে ৫১ রান দিয়ে নেন ১ উইকেট।

আরিফুলকে দিয়ে মাত্র ৩ ওভার করান অধিনায়ক মাশরাফি। আরিফুল ৩ ওভারেই দেন ১৭ রান। অধিনায়ক মাশরাফি শেষ ম্যাচে ছিলেন পুরোপুরি ব্যর্থ। ৮ ওভারে কোনো উইকেট না নিয়ে ৫৬ রান দেন তিনি। সৌম্য সরকারকে দিয়েও ২ ওভার করিয়েছেন অধিনায়ক। ২ ওভারে ৮ রান দেন তিনি।  

পাঁচ জন বোলারদের মধ্যে কোনো বোলারই জিম্বাবুয়ের ব্যাটসম্যানদের ওপর চড়াও হতে পারেননি। আবু হায়দার তুলনামূলক ভালো করলেও বাকি সবাই ব্যর্থ। সাইফুদ্দিন গত দুই ম্যাচে ভালো পারফরম্যান্সের কারণে তাকে কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর কোনো সুযোগ নেই।

অধিনায়ক মাশরাফির ডেথ ওভারের ওই ১৯ রান ব্যাতিত পুরো ম্যাচেই ভালো বোলিং করেছেন। এছাড়া মাশরাফি বাংলাদেশ দলের অন্যতম ধারাবাহিক পারফর্মার।

জিম্বাবুয়ে সিরিজ দিয়েই আরিফুল হকের অভিষেক হয়। মাত্র ৩ ওভার করার সুযোগ পান তিনি। এক ম্যাচ দিয়েই তাকে বিবেচনায় ফেলা ঠিক হবে না। সৌম্য নিয়মিত বোলার না হওয়ার কারণে তাকেও কাঠগড়ায় দাঁড় করানো সম্ভব নয়।

তবে বাংলাদেশ দলের পেস বোলারদের উজ্জ্বল সম্ভাবনা রয়েছে। সেই সঙ্গে পেস বোলারদের ঘাটতি কিছুটা হলেও দূর হয়েছে বাংলাদেশের। বাংলাদেশ দল অনেকদিন পর বেশ কয়েকজন পেস বোলারকে এক সঙ্গে পেয়েছে। গতকালকের ম্যাচের ৫ জন ছাড়াও তাসকিন আহমেদ ও রুবেল হোসেনও অনেকদিন ধরে বাংলাদেশের হয়ে খেলছেন। সব মিলিয়ে বাংলাদেশ দলের হাতে রয়েছে ৭ জন পেস বোলার। এর মধ্যে ৩ জন রয়েছেন পেস বোলিং অল-রাউন্ডার।

নিউজওয়ান২৪/এমএস

খেলা বিভাগের সর্বাধিক পঠিত