ঢাকা, ৩০ নভেম্বর, ২০২৪
সর্বশেষ:

দীর্ঘদিন ব্যথার ওষুধ খেলে কিডনি রোগের ঝুঁকি

স্বাস্থ ডেস্ক

প্রকাশিত: ২১:০৬, ২ আগস্ট ২০১৭  

চিকিৎসকের পরামর্শ না নিয়ে যখন-তখন ও দীর্ঘদিন ব্যথার ওষুধ খাওয়া কিডনি রোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। এ বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ২৮০৭তম পর্বে কথা বলেছেন জাতীয় কিডনি ইনস্টিটিউটের সাবেক পরিচালক ও অধ্যাপক ডা. শামীম আহম্মেদ।

প্রশ্ন: ব্যথার ওষুধ যত্রতত্র খাচ্ছি। আর ব্যথা না কমা পর্যন্ত দিনের পর দিন খেয়েই যাচ্ছি। এগুলোর প্রভাব আসলে কীভাবে পড়ে?

উত্তর: একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক কী করেন? একটি ওষুধ দিয়ে দেন পাঁচ দিন। এরপর বলেন, ‘এর বেশি খাবেন না।’ রোগী কী করল? আবার যখ্ন ব্যথা হলো এই ওষুধ আবার খাওয়া শুরু করল। আবার হলো, আবার খেল। এটা থেকে তার কিডনির পরিস্থিতি ধীরে ধীরে খারাপ হয়ে গেল। সে ক্ষেত্রে আমরা বলি, স্থানীয় যে চিকিৎসক আছেন, তাঁকে দেখান। ওনারা তো জানেন, ব্যথার ওষুধ বেশি খেলে কিডনির সমস্যা হয়। তাঁরা কিডনির পরীক্ষা করে নিলেন। এরপর ওষুধটা দিলেন।

অনেকে কাউন্টার থেকে যত্রতত্র ওষুধ কিনে খান। এখন ফার্মেসিতে তো প্রেসক্রিপশনের প্রয়োজন হয় না। আপনি গেলেন, ওরাও দিয়ে দেয়। যাঁরা ফার্মেসিতে থাকেন, তাঁরাও কিন্তু ডাক্তারি করেন। তাঁদের কাছে জিজ্ঞেস করলে তাঁরা বলে দেন, আপনি এই এই ওষুধ খান। এই জিনিসটি করবেন না। এটি করলে আমরা মনে করি, রোগীরা বিপদের সম্মুখীন হন। আমাদের কাছে এ রকম আসে যে শুধু ব্যথানাশক ওষুধ নয়, এর সঙ্গে স্টেরয়েড খায়। আপনি জানেন, পেডনিসোলোন বা এই জাতীয় ওষুধগুলো জ্বরের সঙ্গে দিতে পারেন, ব্যথার সঙ্গে দিতে পারেন, ত্বকের রোগে দিতে পারেন। সবকিছুতে দেওয়া যায়। আমরাও দিই। আমরা একটু নিয়ন্ত্রিত পদ্ধতিতে দিই। তারা হয়তো এটি দিচ্ছে। বয়স্ক রোগী হয়তো এটি খাচ্ছে। তিন, চার, পাঁচ, ১০ বছরও চালিয়ে যাচ্ছে। তখন ব্যথা কমেছে, এটিই মুখ্য থাকে। কিন্তু চার/পাঁচ বছর পর তার কিডনিতেও সমস্যা হয়, তার স্টেরয়েডের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয়। আর দ্বিতীয়ত হলো স্টেরয়েড বন্ধ করতে গেলে সে ব্যথার জন্য আর থাকতে পারে না।

মূল কথা হচ্ছে, চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোনো ওষুধ খাওয়া উচিত নয়। সব সময় খুব ওপরের লেভেলের চিকিৎসক হতে হবে, তার দরকার নেই। গ্রামের যে ডিসপেনসারি রয়েছে, সেখানে যে চিকিৎসক রয়েছে, তার পরামর্শ নিয়েই খান। তাহলে এই ঝুঁকি অনেকটাই কমে যাবে।


নিউজওয়ান২৪.কম

লাইফস্টাইল বিভাগের সর্বাধিক পঠিত