ডিসিদের রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগ কেন অবৈধ নয়: হাইকোর্ট
নিজস্ব প্রতিবেদক
ফাইল ছবি
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকদের রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
বুধবার বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ ও বিচারপতি ইকবাল কবিরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। পাশাপাশি তিন সপ্তাহের মধ্যে নির্বাচন কমিশন সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
‘অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ’ নির্বাচনের স্বার্থে রিটে বিভাগীয় কমিশনার ও ডিসিদের পরিবর্তে ইসির জেলা নির্বাচনী কর্মকর্তাদের রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগের নির্দেশনা চাওয়া হলেও আদালত তা দেয়নি।
আদেশের পর অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম সাংবাদিকদের বলেন, আদালত রুল জারি করলেও জেলা প্রশাসক ও বিভাগীয় কমিশনারদের নির্বাচনে দায়িত্ব পালনে বাধা দেখছি না। আদালত নিয়োগ স্থগিত করেনি। তবে রুল শুনানির পর যে রায় হবে, তাতে কোনো নির্দেশনা থাকলে তা ভবিষ্যৎ নির্বাচনের ক্ষেত্রে দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।
নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা স্থানীয় সরকারের নির্বাচনগুলোতে রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করলেও জাতীয় নির্বাচনে সাধারণত জেলা প্রশাসক ও বিভাগীয় কমিশনারদেরই ওই দায়িত্ব দেয়া হয়। এবার ৬৪ জেলার ডিসি এবং ঢাকা ও চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনারকে রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
এর বিরোধিতা করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দুই সপ্তাহ আগে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, যে সরকার দায়িত্বে থাকে, তাদের কথা বেশিরভাগ সময় সরকারি কর্মকর্তাদের মেনে চলতে হয়। সে কারণে অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, ন্যায়বিচার করা সম্ভব হয় না। এরপর সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আব্দুর রহমান গত ৬ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে এই রিট আবেদন করেন। সেদিন তার পক্ষে আদালতে শুনানি করেন আইনজীবী সাকিব মাহবুব। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
বুধবার হাইকোর্টের আদেশের পর আইনজীবী সাকিব মাহবুব বলেন, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ অনুযায়ী, নির্বাচন কমিশনের ৬৮৯ কর্মকর্তার মধ্যে থেকে রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগের ক্ষমতা রয়েছে ইসির হাতে। এর বাইরে অন্য কাউকে ওই দায়িত্ব দেয়ার এখতিয়ার ইসির নেই।
আব্দুর রহমানের করা রিট আবেদনে বলা হয়, ডিসিরা নির্বাচন পরিচালনাকারী হওয়ার সুযোগ নেই। এতে সাংবিধানিক বাধা রয়েছে। কারণ সংবিধানের ১২৬ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে- ‘নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব পালনে সহায়তা করা সকল নির্বাহী কর্তৃপক্ষের কর্তব্য হইবে।’ এই অনুচ্ছেদ অনুযায়ী জেলা প্রশাসকরা প্রজাতন্ত্রের নির্বাহী বিভাগে কর্মরত আছেন। তারা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অধীনে কাজ করে থাকেন। ফলে তারা সরাসরি নির্বাচন পরিচালনায় অংশ নিলে সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করতে পারে। সংবিধানের ১১৮ অনুচ্ছেদের ৪ দফা উল্লেখ করে রিটে বলা হয়, দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন স্বাধীন থাকবে। অতএব জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের কাছে এ দায়িত্ব অর্পণ করা উচিত।
নিউজওয়ান২৪/টিআর
- কুমিল্লার এক মামলায় জামিন পেলেন খালেদা
- জঙ্গি অর্থায়ন: শাকিলার জামিন ২০ মার্চ পর্যন্ত স্থগিত
- ফাঁসির মঞ্চ নেই ফেনীতে: কুমিল্লা-চট্টগ্রাম জেলে যাবে রাফির খুনিরা
- জামিন আবেদন নাকচ, ‘শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী’ কারাগারে
- আবরার হত্যা: কারাগারে ‘পিটুনি-সম্বর্ধনা’ অনিককে
- খসরুর জামিন বাতিল, কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ
- রেনু হত্যায় গুজব রটনাকারী রিয়ার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি
- কারাগারে নেয়া হচ্ছে খালেদাকে
- ঐতিহাসিক ৭ মার্চকে জাতীয় দিবস ঘোষণা
- সস্ত্রীক জামিন পেলেন মির্জা আব্বাস
- অরিত্রীর আত্মহত্যা: মামলার প্রতিবেদন ৯ জানুয়ারি
- ৯ বছর পর জানা গেল!
ডিভোর্সড স্ত্রীকে বারবার দেখতে যাওয়ার মাশুল... - প্রেমিক সৈকত যে কারণে রুম্পাকে হত্যা করে বলে সন্দেহ পুলিশের
- পাপিয়াকাণ্ডে মানবজমিন সম্পাদকসহ ৩২ জনের বিরুদ্ধে এমপির মামলা
- সেফুদার বিরুদ্ধে বাংলাদেশ ও অস্ট্রিয়ায় দুই মামলা