ঢাকা, ২৪ নভেম্বর, ২০২৪
সর্বশেষ:

ছাত্রলীগ নেতার প্রতারণার ফাঁদে মন্ত্রী-এমপিসহ মনোনয়ন প্রার্থী

রাজশাহী প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৫:৫৭, ৭ অক্টোবর ২০১৮  

ছবি সংগৃহীত

ছবি সংগৃহীত


আসন্ন একাদশ নির্বাচনকে সামনে রেখে নিজেকে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের কর্মকর্তা হিসেবে পরিচয় দিয়ে মন্ত্রী-এমপিসহ মনোনয়ন প্রত্যাশীদের টার্গেট করে তাদের কাছ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে বড় অংকের অর্থ হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে পাওয়া গেছে। 

এ অভিযোগে রাজশাহী জেলা ছাত্রলীগের এক নেতাকে অস্ত্রসহ গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৫ ব্যাটেলিয়ন। প্রতারক দুর্গাপুর উপজেলার বেলঘড়িয়া মধ্যপাড়া এলাকার ইদ্রিস আলীর ছেলে সাজ্জাদ হোসেন। 

সে রাজশাহী জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। শুক্রবার দিবাগত রাত দেড়টায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় তার কাছ থেকে দুই রাউন্ড গুলিসহ একটি বিদেশী পিস্তল জব্দ করা হয়।

জানা গেছে, মেনোনয়ন পাইয়ে দেয়ার নাম করে এখন পর্যন্ত প্রায় ২০জন মন্ত্রী, এমপি ও মনোনয়ন প্রার্থীদের কাছ থেকে এই প্রতারক সুকৌশলে বড় অংকের অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রতারণার স্বীকার ৪জন মন্ত্রীর নামও রয়েছে এর মধ্যে। 

র‌্যাব-৫ এর দেয়া তথ্য মতে, প্রতারক সাজ্জাদ প্রতারণা করে অর্থ আদায়ের জন্য কখনও প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের সহকারী প্রেস সচিব আফছার সিদ্দিকী বিটু, কখনো এপিএস সাইফুজ্জামান শেখন, নয়তো জনপ্রশাসন মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম হিসেবে নিজেকে পরিচয় দিয়ে আসছিল। মোবাইলে এই পরিচয় দিয়ে সে বিভিন্ন মন্ত্রী, এমপি ও মনোনয়ন পত্যাশীদের আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন পাইয়ে দেয়ার কথা বলে সুকৌশলে তাদের কাছ থেকে বড় অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়। এছাড়াও প্রতরকের বিরুদ্ধে পুলিশে ও রেলের সরকারী চাকরি পাইয়ে দেয়ার নাম করে সাধারণ মানুষের কাছ থেকেও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে। এখন পর্যন্ত প্রায় ২০জন মন্ত্রী, এমপি ও মনোনয়ন প্রার্থীদের কাছ থেকে এই প্রতারক সাজ্জাদ সুকৌশলে অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন। যার মধ্যে রয়েছেন ৪জন মন্ত্রী।

সম্প্রতি লালমনিরহাটের এক সাংসদের কাছ থেকে পুনরায় মনোনয়ন পাইয়ে দেয়ার নাম করে ২লাখ ৯৯হাজার ৯শত টাকা হাতিয়ে নেয় প্রতারক সাজ্জাদ। পরে সাংসদ বিষয়টি বুঝতে পরলে প্রশাসনের সহযোগীতা নেন। এসময় ঘটনার তদন্তভার র‌্যাব-৫ এর কাছে আসে। র‌্যাব-৫ বিষয়টি তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা পান এবং প্রতারক সাজ্জাদের প্রতারণা কাজে ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরটি ট্র্যাক করতে থাকে। প্রতারক সাজ্জাদ প্রতারণার জন্য রাজশাহী ইসলামী ব্যাংক শাখার একটি এ্যাকাউন্ট নম্বর ব্যবহার করে আসছিল। এই ব্যাংক এ্যকাউন্টের মাধ্যমে প্রতারণার ২লাখ ৯৯হাজার ৯শত টাকা স্থানান্তার করা হয়েছিল।

শনিবার বেলা ১১টায় র‌্যাব-৫ এর অধিনায়ক মাহবুবুল আলম তার অফিসে সংবাদ সম্মেলন করে এই বিষয়গুলো তুলে ধরেন। 

এদিকে বিষয়টি স্বীকার করে রাজশাহী জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেরাজ সরকার বলেন, আমরা বিষয়টি শুনেছি। সাজ্জাদ জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক পদে আছে। তবে এমন কলঙ্কিত কাওকে ছাত্রলীগের নেতাতো দুরের কথা সদস্যপদও রাখতে দেয়া হবে না। জেলা ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই তার বহিস্কারের সুপারিশ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

নিউজওয়ান২৪/এমএম

আরও পড়ুন
অপরাধ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত