চুল কেন পড়ছে?
লাইফস্টাইল ডেস্ক
ফাইল ছবি
প্রতিদিন মানুষের মাথা থেকে ১০০টি পর্যন্ত চুল এমনিতেই ঝরে পড়ে। এটা স্বাভাবিক ঘটনা। কিন্তু অনেকের এর চেয়েও অনেক বেশি মাত্রায় চুল পড়ে যায়। বিশেষ করে পুরুষদের টাক সমস্যা তো একটি বিব্রতকর সমস্যার নাম। মানুষের চুল মূলত কেরাটিন নামক একটি প্রোটিন দিয়ে তৈরি। প্রতি মাসেই আধ ইঞ্চি পরিমাণ করে বাড়ে চুল। চুলের এই বৃদ্ধি গরমের সময়ে বেশি হয়। স্বাভাবিকভাবে একেকটি চুল মাথায় ২ বছর থেকে ৮ বছর নাগাদ পর্যন্ত থাকতে পারে। এরপর এটি এমনিতেই ঝরে যায়। কিন্তু স্বাভাবিকতার বাইরে যখন চুল পড়ে যায় সেটাই হয় চিন্তার কারণ। ঠিক কী কী কারণে ঝরে যায় চুল চলুন জেনে নেওয়া যাক।
হরমোনের কারণে
বিভিন্ন রকম হরমোনের কারণে অতিরিক্ত চুল পড়তে পারে। বিশেষ করে অ্যান্ড্রোজেনিক হরমোন এর কারণে চুলের পরিমাণ কমে যায় মাথায়। এই হরমোন পুরুষদের টাক হবার মূল কারণ। নারীদের চুল পড়ারও অন্যতম প্রধান কারণ এই হরমোন।
ছত্রাকের আক্রমণ
মাথার ত্বকে নানা রকম ছত্রাক আক্রমণ করতে পারে। এর ফলে চুলের গোড়া দুর্বল হয়ে পড়ে এবং চুল সহজেই উঠে আসে। খুশকির কারণেও একই সমস্যার সৃষ্টি হয়। এজন্য ছত্রাক মুক্ত করে বা এন্টিড্যান্ড্রফ শ্যাম্পু ব্যবহার করে সুফল পেতে পারেন।
পুষ্টির অভাব
শরীরে পুষ্টির ঘাটতি থাকলে চুল পড়ার হার বেড়ে যায়। বিশেষ করে দীর্গদিন যদি চুল কোন একটি পূষ্টি উপাদান না পায় সেক্ষত্রে চুল দুর্বল হয়ে ঝরে পড়ে। এজন্য দৈনিক খাদ্য তালিকায় যথেষ্ট পরিমাণে পুষ্টিকর খাবার রাখতে হবে।
মানসিক দুশ্চিন্তা
মানসিক অস্থিরতা বা দুশ্চিন্তায় পড়লেও মাথার চুলে এর প্রভাব পড়ে। এরফলে দ্রুত সময়ের মধ্যে অনেক চুল পড়ে যায়। দুশ্চিন্তার ফলে চুল শুধু ঝরে পড়ে না। এটি চুলকে পাকিয়েও ফেলে। দীর্ঘদিন মানসিক চাপে ভুগলে পুরুষদের মাথা টাক হয়ে যাবার সম্ভাবনা থাকে। তবে দুশ্চিন্তা কাটিয়ে উঠলে আবার চুল গজানোর সম্ভাবনা থাকে।
প্রসাধনীর ব্যবহার
নিজেকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে অনেকেই চুলের মধ্যে নানা রকম প্রসাধনী ব্যবহার করে থাকেন। বিশেষ করে বিভিন্ন রকম হেয়ার জেল এবং চুল রঙিন করার প্রসাধনী এক্ষেত্রে বেশি ক্ষতি সাধন করে থাকে। এছাড়াও চুল একভাবে অনেকদিন বেঁধে রাখাকেও চুল পড়ার অন্যতম প্রধান কারণ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন চুল বিশেষজ্ঞরা।
ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
বিভিন্ন এন্টিবায়োটিক বা এই ধাঁচের ওষুধের কারণেও চুল পড়ে যায় অনেকের। এছাড়াও জন্মনিয়ন্ত্রণের বড়ি, প্রেসারের ওষুধ, রক্ত তরলীকরণের ওষুধ, হরমোন, মানসিক অসুস্থতার ওষুধও চুল পড়ার ক্ষেত্রে ভূমিকা পালন করে।
অসুখে পড়লে
কিছু অসুখ আছে যার ফলে মাথার চুল অনেক পড়ে যায়। যেমন টাইফয়েড, এনিমিয়া, জন্ডিস, ডায়াবেটিস ইত্যাদি। এইসব রোগে যারা আক্রান্ত হোন অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় তাদের মাথার চুল অনেক পড়ে যায়। এবং রোগ সারার পর তা আর আগের অবস্থায় ফিরে আসে না।
প্রতিকার
চুল পড়া কমিয়ে আনতে চাইলে প্রথমে আপনাকে অনেক বিষয়ে সচেতন হতে হবে। বিশেষ করে খাদ্যাভ্যাসের দিকে বাড়তি গুরুত্ব দিতে হবে। আপনার চুলের জন্য কোন খাবারগুলো উপকারী তা জেনে খাদ্যাভ্যাস ঠিক করুন। প্রয়োজনীয় ভিটামিন গ্রহণ করুন। দুশ্চিন্তা মুক্ত থাকার চেষ্টা করতে হবে। চুলের ধরণ বুঝে শ্যাম্পু ব্যবহার করবেন। কোঁকড়া চুলের ক্ষেত্রে বাড়তি যত্ন নিতে হবে চুলের। কৃত্রিম রঙ এড়িয়ে চলুন। চুলে যেকোন ওষুধ প্রয়োগের আগে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
- অ্যাজমা চিকিৎসায় হোমিও সমাধান
- ছেলেদের যে অঙ্গগুলো পছন্দ মেয়েদের
- কুমারীত্ব...
- ঝাড়-ফুঁকে সাপ কামড়ানো রোগী ‘ভালো হয় যেভাবে’
- যৌনমিলন দীর্ঘস্থায়ী করার উপায়
- স্ত্রী হিসেবে মোটা মেয়েরাই ভালো!
- আকষ্মিক হার্ট অ্যাটাক! অন্যের সাহায্য ছাড়াই যেভাবে বাঁচাবেন নিজকে
- প্রয়োজনীয় যে সব ওষুধ...
- অলস বাবুদের জন্য সুখবর: আসছে কাপড় ভাঁজ করার মেশিন!
- যৌনতা বিষয়ে যে জিনিসগুলো জেনে রাখা জরুরি
- নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করার কৌশল
- আফ্রিকার ‘যমরাজ’ ব্লাক মাম্বা
- শারীরিক মিলনের পর করণীয় কিছু...
- শিশুকে ফ্লাইং কিস: আমিরাতি তরুণের জেল
- টাইফয়েডের নতুন টিকায় ১০ জনের ৯ জনই বাঁচবে