ঢাকা, ২৬ নভেম্বর, ২০২৪
সর্বশেষ:

‘কাস্টিং কাউচ’ কমসে কম খেতে তো দেয়: সরোজ খান

প্রকাশিত: ১১:১৫, ২৬ এপ্রিল ২০১৮  

তার বক্তব্য ধর্ষণ বিষয়ে চলমান ক্ষোভ-প্রতিবাদে নয়া প্রশ্নের যোগান দিয়েছে। ঠোঁটকাটা কথাবার্তা আর বেখাপ্পা মেজারের জন্য খ্যাত-কুখ্যাত সরোজ খানের বয়ান যেন পরোক্ষে এই কু-প্রথাকে সমর্থনই করছে। খ্যাতিমান এই কোরিওগ্রাফার সিনেমা জগতের বহুল ঘৃণিত কাস্টিং কাউচ প্রসঙ্গে বলেছেন, ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে ধর্ষণ বা কাস্টিং কাউচের ঘটনা ঘটলেও এখানে অন্ন সংস্থানেরও ব্যবস্থা রয়েছে। যার সঙ্গে অন্যায় করা হয় তাকে ফেলে তো দেওয়া হয়না বরং তাকে কাজ দেওয়া হয়।

মঙ্গলবার হিন্দি গণমাধ্যম নবভারতটাইমস.কম এ খবর জানায়। নিজের বক্তব্য প্রসঙ্গে সরোজ বলেন, এবার আমি আবার কোন ভুল কথা বললাম। যেটা সত্য সেটাই বলেছি। আমার কোনো কথাকে যদি লোকজন ভুলভাবে নেয় তো আমি কী করতে পারি! আমি তো শুধু এটুকুই বলেছি যে সব ব্যবসাতেই কাস্টিং কাউচ প্রথা রয়েছে। এখন এটা নিজের ওপরে নির্ভর করে যে আমরা আসলে কী করতে চাই আর কী চাই না। আমি ধর্ষণের মতো অপকর্মকে বৈধ বলছি না। আমার বক্তব্য হচ্ছে লোকজন শুধু চলচ্চিত্রাঙ্গণের দিকেই আঙুল তোলে কেন? ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির বাইরে অন্যান্য ক্ষেত্রে কি এসব হচ্ছে না?

টাইমস নাউ নামের অপর একটি সংবাদ মাধ্যমের অনুষ্ঠান ‘খাস বাতচিত’-এ সরোজ খান কাস্টিং কাউচকে আদপে অন্যায় বলে স্বীকার করেননি।

জনসত্তা.কম-এর খবরে সরোজ খানের বয়ানে বলা হয়- এটা তো নতুন কিছু নয়। বাবা আদমের সময় থেকে হয়ে আসছে। ফিল্ম জগতে ধর্ষণের পর রুটি-রুজির ব্যবস্থা তো হয়, ফেলে তো আর দেয় না।

সরোজ খান বলেন, প্রত্যেক মেয়ের ওপর কেউ না কেউ হাত সাফ করার (সম্ভোগের) চেষ্টা করে। সরকার করে, সরকারের লোকজনও করে। তোমরা সবাই ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির পেছনে লেগে রয়েছো কেন... যদি নিজের কাছে শিল্প থাকে তবে কেন নিজেকে বিক্রি করবে? যদি কোনো মেয়ে চায় কারো সঙ্গে যাবে না তো যাবে না! ফিল্ম জগত নিয়ে কিছু বলতে এসো না- এটা আমাদের মা-বাপ।

তবে সরোজের এমন চাঁছা-ছিলা মন্তব্যে সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। একজন মন্তব্য করেন- অশিক্ষিত নারীর বক্তব্য আর কী হতে পারে? অনেকেই সরোজের বয়ানকে অপমানজনক বলে লিখেছেন। সরোজের এক ভক্ত লিখেছেন, আমি আপনার ফ্যান। আমার অন্তরে আপনার জন্য সম্মানের আসন রয়েছে। কিন্তু এই বক্তব্য লজ্জাজনক।

শ্রীদেবী-মাধুরী থেকে বলিউডের হাল জমানার নামী-দামী হিরোইনরা যেসব অসাধারণ নাচের পারফর্মেন্সে বক্স অফিস মাত করেছেন, তার বেশিরভাগেরই নির্দেশনা দিয়েছেন সরোজ খান অথবা তার কোনো শিষ্য। কারিনার স্বামী সাইফ আলীকেও নাচ শিখিয়েছেন তথা পর্দায় নাচিয়েছেন সরোজ খান। সাইফ নিজে স্বীকার করেছেন তিনি নাচের কিছুই জানতেন না। যার দ্বারা নাচা সম্ভব নয় বলে অনেকে মনে করতো, সেই সাইফকেও ‘যাব ভি কোই লাড়কি দেখো মেরা দিল দিওয়ানা বোলে ওলে ওলে...’ গানের তালে নাচিয়ে ছেড়েছেন সরোজ।