কর্মসূচির ডাক কামালের, নীরবে এগোচ্ছে বিএনপি
নিজস্ব প্রতিবেদক
ফাইল ছবি
আর মাত্র দুই দিন বাকি! আগামী ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এবার তাকে ঘিরেই নতুন কর্মসূচির ডাক দিয়েছেন ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ডা. কামাল হোসেন। সম্প্রতি রাজধানীর বেইলি রোডে ড. কামাল হোসেনের বাসায় এক বৈঠকে ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতারা এই সিদ্ধান্ত নেন।
বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামীকাল শুক্রবার ২৮ ডিসেম্বর গণসমাবেশ করার কর্মসূচি পালন করা হবে।
ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে এই বৈঠকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসীন মন্টুসহ আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া নির্বাচনে ৪০ হাজার ১৮৩টি ভোট কেন্দ্র পাহারা দিতে কমিটি করছে বিএনপি। তারা একেকটি কেন্দ্রকে ঘিরে তিন স্তরে অবস্থান নেবে। ভোট কারচুপি রোধ ও ভোটারদের আশ্বস্ত করার কাজ করবে এসব কমিটি। পাশাপাশি যেকোন পরিস্থিতি মোকাবেলায় তৈরি থাকবে তারা।
নির্বাচনে অংশ নেয়ার সিদ্ধান্তের বেশ আগেই কেন্দ্রভিত্তিক কমিটির কথা বলেছিল বিএনপি। পরে, আন্দোলনের অংশ হিসেবে নির্বাচনে যাওয়ার ঘোষণা ও শেষ পর্যন্ত ভোটযুদ্ধে থাকার কথা বললেও, নির্বাচনি প্রচারে মাঠে নেই দলটির নেতাকর্মীরা।
তবে, প্রচার-প্রচারণায় সরব না হয়ে এখন ভোটের দিনের সমীকরণ মেলাতে কৌশলী দলটি। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, আমাদের নেতাকর্মীদের ধরে নিয়ে চলে যাচ্ছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তাই গ্রেপ্তার এড়াতে নিরবে কাজ করে চলেছে বিএনপি। কারণ এবারের ভোটটা মোকাবেলা করতে হবে অনেকটা নিরবেই।
৩০ ডিসেম্বরের কর্ম পরিকল্পনা প্রসঙ্গে বিএনপির ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সহ-সভাপতি নবীউল্লাহ নবী জানান, মা-বোন যারা আছে, অনেকেই ভয়-ভীতির কারণে ভোট কেন্দ্রে যান না। এজন্য বাড়ি বাড়ি গিয়ে তাদেরকে উৎসাহিত করে কেন্দ্রে আনার কাজ করবে এই নির্বাচন কমিটি।
মানিকগঞ্জ জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ সভাপতি আব্দুল হামিদ ডাবলু কমিটির বিষয়ে বলেন, তিন স্তর বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে। সেই তিন স্তরের মধ্যে যদি প্রথম স্তরকে গ্রেপ্তার করার চেষ্টা করা হয়, তাহলে দ্বিতীয় স্তর কাজ করবে। দ্বিতীয় স্তরকে যদি গ্রেপ্তার করার চেষ্টা করা হয় তাহলে জনগণ প্রতিহত করবে।
বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী জানান, বিএনপি নেতৃত্বাধীন অঙ্গসংগঠনের সমন্বয়ে একটা কমিটি, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সমন্বয়ে আরেকটা এবং অন্য আরেকটা কমিটি গঠনের কাজ চলছে।
তবে, নেতারা বলছেন, যত বাধাই আসুক ভোটারদের সাহস যোগাতে ও ভোটাধিকার নির্বিঘ্ন করতে নেতাকর্মীরা শেষপর্যন্ত কেন্দ্রে অবস্থান করবে।
আর কমিটি বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন, এই ভোট কেন্দ্র ভিত্তিক যে কমিটি হচ্ছে তাদের দায়িত্ব ভোটের স্লিপ দেয়া, ভোটের দিন বাড়িতে বাড়িতে যাওয়া, ভোট কেন্দ্রে পাহারা দেয়া। সেই সঙ্গে ভোট কেন্দ্রে ভোটারদেরকে আনা।
ভোট গণনা শেষে প্রতিটি কেন্দ্র থেকে ফল নিয়েই নেতাকর্মীরা ঘরে ফিরবে বলেও জানান তারা।
নিউজওয়ান২৪/জেডএস
- কেন ‘উল্টে’ গেলেন এরশাদ
- বিএনপিতে যে পদ পাচ্ছেন তারেক স্ত্রী জোবাইদা
- এরশাদের এ কেমন অসুখ?
- এরশাদের ‘তেলেসমাতি খেইল’
- আসন ভাগাভাগি নিয়ে বিরোধ, বেকায়দায় ঐক্যফ্রন্ট
- হঠাৎ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মাহি
- কে হবেন প্রধানমন্ত্রী?
- বিএনপির মনোনয়ন চিঠি
একই আসনে স্বামী-স্ত্রী! - ফের সক্রিয় হচ্ছেন এরশাদের সাবেক স্ত্রী বিদিশা?
- ড. কামালের ‘ডাইরেক্ট’ হুমকি
- নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন ড. কামাল
- এরশাদের মেয়ে মৌসুমীর বিরুদ্ধে মামলা
- যেসব তথ্য গোপন করলেন এরশাদ
- ভিডিও কলে স্ত্রীর সঙ্গে মিলন, কী কথা হয় তাদের? (ভিডিও)
- স্বামী তন্ময়ের সঙ্গে মাঠে স্ত্রী, ভোট চাইলেন নৌকায়! ভিডিও