আর কত ‘কমেন্ট্রি টিজিং’ এর শিকার হবে বাংলাদেশ?
স্পোর্টস ডেস্ক
ছবি: সংগৃহীত
আমরা বরাবরই নিরপেক্ষ ধারাভাষ্যের কথা বলে থাকি। কিন্তু বড় বড় ক্রিকেট ইভেন্টগুলোতে তা দেখা যায় না বললেই চলে। ২০১৬ সালের টি২০ বিশ্বকাপের ভারত-বাংলাদেশ ম্যাচে বাংলাদেশের প্রশংসা করেন হার্শা ভোগলে। যার কারণে তিনি এখন আইপিএল থেকে বিতারিত। আজ নিরপেক্ষ আচরণের কারণে হার্শা ভোগলের মতো কিংবদন্তি ধারাভাষ্যকারকে এশিয়া কাপের মতো আসরগুলোতে দেখা যায় না।
এ থেকে একটা বিষয় পরিষ্কার ধারাভাষ্যকার হিসেবে আপনি চাইলেই যে কারো প্রশংসা করতে পারবেন না। সবচেয়ে বড় কথা করলেও সেটা যেন ভারতের বিপক্ষে না যায়। এবারের এশিয়া কাপেও এর ব্যতিক্রম হয়নি। বারবার ধারাভাষ্যকারদের পক্ষপাতমূলক আচরণ দেখা গেছে পুরো আসরজুড়ে। আর এই ‘কমেন্ট্রি টিজিং’ এর সবচেয়ে বড় শিকার হয়েছে বাংলাদেশ।
এই যেমন বাংলাদেশ-পাকিস্তান অলিখিত সেমিফাইনাল ম্যাচের কথা। সেই দিন যতক্ষণ পর্যন্ত শোয়েব মালিক ক্রিজে ছিলেন ততক্ষণ পর্যন্ত ধারাভাষ্যকাররা পাকিস্তান-ভারত ফাইনালের কথা ভেবেই কথা বলেছেন। আর এই কাজটা সবচেয়ে বেশি করেছেন ভারত এবং পাকিস্তানের ধারাভাষ্যকাররা। আবার যখন আসিফ আকী এবং ইমাম দুজইন দাড়িটে গেছেন তখনই সেই একই চিত্র। অথচ তখ রীতিমত ধুঁকছিল পাকিস্তান। যেখানে অন্য ধারাভাষ্যকাররা বাংলাদেশের ফিল্ডিং-বোলিংয়ের প্রশাংসায় পঞ্চমুখ ছিলেন। সেখানে ভারত-পাকিস্তানের ধারাভাষ্যকাররা নিজেদের গুনগান গাইতেই ব্যস্ত ছিলেন। মাঝে মাঝে প্রশ্ন করতে মন চায় তার কি বাংলাদেশের পারফরম্যান্স দেখে না? বাংলাদেশ যে ধীরে ধীরে তাদের ভুলগুলো শুধরে সামনে এগোচ্ছে তা কি তারা জানে না? নাকি পক্ষপামূলক আচরণ তাদের রক্তে মিশে গেছে?
এদিকে, এবারের এশিয়া কাপে ধারাভাষ্যকারের দায়িত্ব পালন করেছেন মোট ১২ জন। সুনীল গাভাস্কার, লক্ষণ শিভারামাকৃষ্ণ, ভিভিএস লক্ষণ, রমিজ রাজা, আমির সোহেল, কুমার সাঙ্গাকারা, রাসেল আর্নল্ড, আতাহার আলী খান, ডিন জোন্স, ব্রেট লি ও কেভিন পিটারসন, অনীল কুম্বলে। আসন্ন আসরে সর্বোচ্চ চারজন ধারাভাষ্যকার ছিলেন ভারতের। তালিকায় আছেন-সুনীল গাভাস্কার, লক্ষণ শিভারামাকৃষ্ণ, ভিভিএস লক্ষণ ও অনীল কুম্বলে। পাকিস্তানের ধারাভাষ্যকার থাকবেন দুইজন-রমিজ রাজা, আমির সোহেল। শ্রীলঙ্কার দুইজন-কুমার সাঙ্গাকারা, রাসেল আর্নল্ড। বাংলাদেশের একজন-আতাহার আলী খান। এর বাইরে আছেন ডিন জোন্স, ব্রেট লি এবং কেভিন পিটারসন।
এ থেকে একটা বিষয় পরিস্কার, ভারতের অখ্যাত একজন ধারাভাষ্যকারও সুযোগ পেতে পারে। একই সঙ্গে চার-পাচজন ভারতের ধারাভাষ্যকারও থাকতে পারেন প্যানেলে। যেন একমাত্র তারাই ক্রিকেট বিশ্লেষণ করতে যানে। তারাই সেরা ধারাভাষ্যকার। কিন্তু বাংলাদেশের আতাহার আলী বাদে আর কেউ সুযোগ পাবে না ধারাভাষ্যকার প্যানেলে।
নিউজওয়ান২৪/এমএস
- ছয় বলেই কেন এক ওভার?
- টিম ইন্ডিয়াকে নিয়ে বিদ্রুপ: ক্ষমা চেয়েছে প্রথম আলো!
- এবারো কী ১৪ জন খেলবে টাইগারদের বিরুদ্ধে!
- আনন্দবাজারকে মুস্তাফিজুর
`আপনা আপনিই ওটা হয়, কেউ শেখায়নি` - বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে সিরিজের টিকিট যেভাবে পাবেন?
- ফের নগ্ন আম্পায়ারিংয়ের শিকার বাংলাদেশ
- রোনালদোকে বিয়ের দাওয়াত দিলেন মেসির স্ত্রী
- বিজয় দিবসে লিভারপুলের শুভেচ্ছা
- অনুশীলনের ফাঁকে মাশরাফির ‘দুষ্টুমি’ (ভিডিও)
- দেশের মাটিতে ‘কিংবদন্তী‘র শেষ ম্যাচ!
- সেই সৌম্যই সমাধান?
- `লিটইন্যা`র সেঞ্চুরি
- গেইলের ১৮+
- প্রীতির দলে নেই শেবাগ, প্রশ্ন উঠেছে ‘সম্পর্ক’ নিয়ে!
- যে কারণে মেসির কথা শুনে কেঁদেছিল পুরো আর্জেন্টিনা দল