ঢাকা, ২৫ নভেম্বর, ২০২৪
সর্বশেষ:

আমাদের খলনায়কগণ!

জিহাদ

প্রকাশিত: ১২:৫৬, ২২ অক্টোবর ২০১৮  

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

বাংলা চলচ্চিত্রে এ যাবৎ বহু ‘খলনায়ক’-এর আবির্ভাব হয়েছে। তাদের সকলেই যে আলোড়ন তুলতে পেরেছেন তা কিন্তু নয়। তাই বলা যায় সফল ভিলেনদের তালিকাটা খুব একটা দীর্ঘ নয়।

এদিকে, সত্তরের দশকে সুপারহিট ছবিগুলোর সঙ্গে দারুণভাবে জড়িয়ে যায় জসিমের নাম। ‘দোস্ত দুশমন’ থেকে ‘প্রতিজ্ঞা’-সত্তর শুরু থেকে আশির দশকের শুরু পর্যন্ত জসিম ছিলেন তারকাখ্যাতির তুঙ্গে। ফোক, ফ্যান্টাসি, অ্যাকশন ছবিতে তার কোনো তুলনা ছিল না। তিনি একাই ছিলেন ভিলেন জগতের একক অধিশ্বর।

তার কিছু দিন পর থেকে পরবর্তীতে অনেকদিন পর্যন্ত খলিলও ‘খলনায়ক’ হিসেবে বেশ সুখ্যাতি পেয়েছেন। তাছাড়া ওই সময় ভিলেন হিসেবে রাজু আহমেদও মাতিয়েছেন দেদারসে। এরপর ‘নয়নমণি’ ছবিতে এ টি এম শামসুজ্জামানের ভিলেনরূপে উপস্থিতি চমক লাগিয়ে দেয় সিনে দর্শকদের চিত্তে। গ্রামীণ ছবিতে নেতিবাচক অভিনয় দেখিয়ে দর্শকদের হৃদয়ে দারুণ নাড়া দেয় এই অভিনেতা।

এরপরেই জনপ্রিয়তা পান ‘খলনায়ক’ আহমেদ শরীফ। আশির দশকে ব্যস্ততায় তিনি সবাইকে ছাড়িয়ে যান। এক নামে দেশজুড়ে তার খ্যাতি প্রতিষ্ঠিত হয়। নব্বইয়ের দশকে তার পাশে উত্তরণ ঘটে রাজিবের। দর্শকপ্রিয়তায় শীর্ষে পৌঁছে যান এই ভিলেনও। এরপর তাকে ঘিরেই ছবির গল্প লেখা হতে থাকে।

রাজিবের পাশাপাশি ওই সময় যোগ দেন হুমায়ুন ফরীদি। তিনি ভিলেন চরিত্রে অন্যরকম অভিনয় দেখিয়ে বাংলা ছবিতে আনেন ভিন্নমাত্রা। এ ছাড়াও তাকে ভেবে গল্প, গান, পোস্টার করা হয়।

পরবর্তীতে আগের সকল রেকর্ড ভেঙে দেন ভিলেন হিসেবে ডিপজল এসে। তার জন্যই নব্বই দশকের শেষের দিকে সিনেমা হলে হুমড়ি খেয়ে পড়েন দর্শকরা। ঢাকাই ছবির দিকপরিবর্তনে পর্দায় তার অভিনয় কারিশমার কথা এখনো স্মরণীয়।

এদিকে এই সময়ে এসে ভিলেনদের তালিকায় সর্বশেষ ঝড় তোলা তালিকায় শীর্ষে আছেন মিশা সওদাগর। সাতশ’রও বেশি ছবিতে যিনি ‘খলনায়ক’ হয়ে তাক লাগিয়েছেন। তাকে ছাড়া আজকাল নির্মাতারা ছবি নির্মাণের কথা ভাবতেই পারেন না বললেই চলে।

নিউজওয়ান২৪/জেডএস