আজও সাকরাইন
ছবি: সংগৃহীত
পুরান ঢাকায় সাকরাইন মাঘের প্রথম দিন পালিত হয়। তাই বাংলা একাডেমির পঞ্জিকা মতে ১৪ জানুয়ারি এ উৎসব পালন করার কথা। আর শাঁখারিবাজারের আদি হিন্দু পরিবারগুলো লোকনাথ পঞ্জিকা অনুসারে ১৫ জানুয়ারি মাঘের প্রথম দিন মেনে এ উৎসব পালন করে।
দক্ষিণ এশিয়ায় পৌষ সংক্রান্তি বা মকরসংক্রান্তি বলে যে উৎসব পালিত হয় সেটাই ঢাকায় সাকরাইন বা পৌষ সংক্রান্তি হিসেবে পরিচিত। দিনটিকে ঘিরে ঢাকায় ও দেশের বিভিন্ন স্তানে হিন্দু সম্প্রদায় উৎসব পালন করে।
আরো পড়ুন>>> আজ সাকরাইন, পুরান ঢাকার আকাশ থাকবে ঘুড়ির দখলে
তবে ভারতে একে পৌষ সংক্রান্তি, নেপালে মাঘী, থাইল্যান্ডে সংক্রান, লাওসে পি মা লাও, মিয়ানমারে থিং ইয়ান এবং কম্বোডিয়ায় মহাসংক্রান নামে পরিচিত।
চক্ষুদার, মালাদার, চারবুয়া, মাছলেঞ্জা- কত গালভরা নামের নানান রং আর বাহারের ঘুড়িদের সাম্যবাদ হবে সাকরাইনে। ভোরবেলা কুয়াশার আবছায়াতেই ছাদে ছাদে শুরু হয় ঘুড়ি ওড়ানোর উন্মাদনা। ছোট বড় সকলের অংশগ্রহণে মুখরিত হয় প্রতিটি ছাদ।
বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়বে উৎসবের জৌলুস। শীতের উদাস দুপুর আর নরম বিকালে আকাশে গোত্তা খাবে নানান রংয়ের ঘুড়ি। ঘুড়িতে ঘুড়িতে হৃদ্যতামূলক কাটা-কাটি খেলাও চলবে। অহরহ কাটা-কাটি খেলায় হেরে যাওয়া অভিমানী ঘুড়ি সুতার বাঁধন ছিড়ে উড়ে যাবে দূরে। চারিদিক থেকে শোনা যাবে ভোঁকাট্টা রব।
এক দশক আগেও ছাদে ছাদে থাকত মাইকের আধিপত্য। আজ মাইকের স্থান দখল করেছে আধুনিক সাউন্ড সিস্টেম। সন্ধ্যায় মুখে কেরোসিন নিয়ে আগুনে ফু দিয়ে আকাশে অগ্নিকুণ্ড তৈরি, ফানুস ওড়ানো অথবা আতশবাজিতে মুখর থাকবে আকাশ।
সাকরাইনের সপ্তাহ খানেক আগে থেকে চলে প্রস্তুতি। সুতোয় কাচ, রং দিয়ে ‘মাঞ্জা’ দেওয়া হয়। শাঁখারিবাজারের দোকানগুলোতে পাওয়া যায় বিভিন্ন আকার, আকৃতির ঘুড়ি। অনেকে ব্যক্তিগতভাবে বানিয়ে নেন ঢাউস ‘ল্যাঞ্জার’ ঘুড়ি। ঘুড়ির লেজকে পুরান ঢাকায় বলে ল্যাঞ্জা।
ছাদে ছাদে বন্ধুবান্ধবের দল টাকা তুলে এসব আয়োজন করে। লাখ লাখ টাকার বাহারি আতশবাজি পোড়ানো হয় সাকরাইনকে কেন্দ্র করে।
উৎসবের আমেজ থাকবে পুরান ঢাকার সর্বত্র। সূত্রাপুর, গেণ্ডারিয়া, ধোলাইখাল, তাঁতীবাজার, লক্ষ্মীবাজার, বংশাল, চকবাজার, লালবাগ মাতবে ঐতিহ্যের এই উৎসবে। আকাশে উড়বে ঘুড়ি আর বাতাসে দোলা জাগাবে গান।
সাকারাইন উৎসব এখন আর শুধু ঢাকাইয়াদের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। সাকরাইন পুরান ঢাকায় বসবাসকারী সকল মানুষের উৎসবে পরিণত হয়েছে। এখন সাকরাইনে নতুন ঢাকাসহ নানান এলাকা থেকে মানুষ আসে পুরান ঢাকায়। অনেক বিদেশি পর্যটকও ভিড় জমায় এখানে।
পুরান ঢাকার এসব ঐতিহ্যগুলো সম্পর্কে নতুন প্রজন্মকে সচেতন এবং ঐতিহ্যগুলো পুনরুজ্জীবিত করার লক্ষ্যে আন্তরিক হওয়া প্রয়োজন।
নিউজওয়ান২৪.কম/এমজেড
- বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী মুসলিম নারী শেখ হাসিনা
- সিরাজুল আলম খান রহস্য, একটি রাজনৈতিক বিতর্ক
- ঘটনা গুরুতর: প্রধান বিচারপতির উত্তরের আশায় পুরো বাংলাদেশ!
- পিরিয়ডের সময় যে খাবারগুলো ক্ষতিকর
- ‘ডোপ টেস্ট’ কী? জেনে নিন...
- দুর্লভ সাদা গোখরাটি জ্যান্ত গিলে খেল অপর সাপকে! (ভিডিও)
- মইনুলকে জানি না তবে মাসুদা ভাট্টি চরিত্রহীন: তসলিমা
- আহ! কাকের বাসা
- উন্মাদের পরিবেশ সচেতনতা কার্টুন প্রদর্শনী শুরু
- বিবস্ত্র হয়ে ঘর পরিষ্কার, অতঃপর...
- র্যাবের নয়া এডিজি কর্নেল আনোয়ার লতিফ খান, পিএসসি
- কেমন যাবে আপনার আজকের দিন
- ৫ বছর আগের কার্টুনের বক্তব্য...
- গরীবের কংকাল ঢাকে ধনবানের স্ফীত উদর!
- রওশনের বাবা নাকি এরশাদ?- প্রথম আলো