আকাশচুম্বী ভবনসমূহ...
নিউজ ডেস্ক
ফাইল ছবি
মানবসভ্যতার অসামান্য অগ্রগতির অন্যতম নিদর্শন বর্তমান সময়ের আকাশচুম্বী ভবনসমূহ।
অতীতে যে দালানকোঠা নির্মাণ ছিল কল্পনার বাইরে তা আজ সম্ভব হয়েছে আধুনিক বিজ্ঞান-প্রযুক্তি ও স্থাপত্যকলার উন্নয়নে। সাম্প্রতিককালের এমনই সর্বোচ্চ উচ্চতাসম্পন্ন পাঁচ ভবন সম্পর্কে জেনে নিন-
১. বুর্জ খলিফা – ৮২৮ মিটার বা ২ হাজার ৭১৭ ফুট:
২০০৯ সাল থেকে বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু ভবনের উপাধি ধারণ করে বুর্জ খলিফা। ১৬২ তলা বিশিষ্ট এই ভবনে রয়েছে ৩০ হাজার কক্ষ, ৯ টি হোটেল এবং একটি সুবিশাল শপিং মল। মূলত এটি নির্মাণ করা হয়েছিল দুবাইকে পর্যটন স্পট হিসেবে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দেয়ার জন্য। শক্তিশালী বাতাসের ধাক্কা এড়াতে এই দালান বিশেষ ত্রিপদী আকৃতিতে নির্মাণ করা হয়। এছাড়া এর বাইরের অংশে বিশেষ এক আবরণ আছে যা দুবাই এর বৈশিষ্ট্যসূচক তপ্ত আবহাওয়া প্রতিহত করে। ভবনটিতে মোট ৫৭ টি এলিভেটর ও ১২ থেকে ১৪ জন ধারণক্ষমতা সম্পন্ন ৮ টি এক্সিলেটর রয়েছে। বুর্জ খলিফার নকশা করেন স্কিডমর, ওয়িংস এবং মেরিল।
২. সাংহাই টাওয়ার – ৬৩২ দশমিক ১১ মিটার বা ২ হাজার ৭৩ ফুট:
সাংহাই টাওয়ার নতুন এক স্থাপত্য নিদর্শন। ২০১৫ সালের ৬ই সেপ্টেম্বর এর নির্মাণ কাজ শেষ হয় এবং সে বছরের নভেম্বরে এটি উন্মুক্ত করে দেয়া হয়। এই দালান ১২১ তলাবিশিষ্ট। এটি নকশা করা হয় প্রশাসনিক ভবন ও হোটেলের সংমিশ্রণ হিসেবে। সাংহাই টাওয়ার এর সঙ্গেই জিন মাও টাওয়ার এবং সাংহাই ওয়ার্ল্ড ফিন্যান্সিয়াল সেন্টার নামের আরো দু’টি ভবন রয়েছে। এতে রয়েছে ৩২০ টি হোটেল রুম ও একটি বিশাল পার্কিং লট যেখানে একই সঙ্গে ১ হাজার ১০০ টি গাড়ি রাখা সম্ভব।
৩. মক্কা রয়েল ক্লক টাওয়ার হোটেল:
৬০১ মিটার বা ১ হাজার ৯৭১ ফুট হজ্জ্বের মৌসুমে মক্কায় আগত মুসল্লিদের বাসস্থানের ব্যবস্থার জন্য সৌদি সরকারের মালিকানাধীন একটি হোটেল এটি। এর অপর নাম আবরাজ আল বাইত। ১৪১ x১৪১ ফুট ক্ষেত্রফলের একটি বৃহৎ ঘড়ি রয়েছে এই ভবনের উপরে। স্থায়ী বাসিন্দা ও দর্শনার্থীদের জন্য অভিজাত কক্ষ, একটি কনফারেন্স হল এবং ১০ হাজার মুসল্লি জমায়েতের মত বিশাল একটি মসজিদ রয়েছে এখানে। দালানের ঘড়িতে ২১ হাজার সাদা-সবুজ আলো নামাজের ওয়াক্তে জ্বলজ্বল করতে থাকে এবং বিশেষ উপলক্ষে দালানের উপরের ১০ টি লেজার লাইট আকাশের ১০ কিলোমিটার পর্যন্ত আলোকিত করতে থাকে।
৪. ওয়ান ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার – ৫৪১ দশমিক ৩৩ মিটার বা ১ হাজার ৭৭৬ ফুট:
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চতম এই ভবনটি ১০২ তলা বিশিষ্ট। অফিস, রেঁস্তোরা, সম্প্রচার কেন্দ্র, পরিবহন কেন্দ্র এবং একটি যাদুঘর রয়েছে এতে। যদিও ভবনটি ১ হাজার ৩০০ ফুট উঁচু। এর উপরে নির্মিত অংশটির উচ্চতা বিবেচনা করে ভবনটি ১ হাজার ৭৭৬ ফুট উচ্চতায় পৌঁছেছে।
৫. তাইপে ১০১ – ৫০৯ মিটার বা ১ হাজার ৬৭১ ফুট:
তাইওয়ানের প্রচণ্ড গতির বাতাস ও ভূমিকম্প প্রতিরোধ করার জন্য বিশেষ নির্মাণশৈলী প্রয়োগ করা হয় তাইপে ১০১ এ। বিশ্বের সর্বোচ্চ ও বৃহত্তম পরিবেশবান্ধব ভবন হিসেবে এই ভবনকে স্বীকৃতি দিয়েছে ‘লিড’। প্যাগোডা আকৃতির এই ভবনে রয়েছে ৮ টি অংশ। প্রতি অংশে রয়েছে ৮ টি করে তলা।
নিউজওয়ান২৪/আরএডব্লিউ
- বাঙালির বংশ পদবীর ইতিহাস
- গন্ধভাদালি লতার উপকারিতা
- ‘ময়ূর সিংহাসন’
- মিশরীয় সভ্যতা এবং নীল নদ
- মধ্যযুগের ইতিহাস
- ব্যবহারের আগে জানুন প্লাস্টিক বোতলে চিহ্নের মানে কী
- পবিত্র কাবা শরীফের অজানা যত তথ্য
- হ্যালুসিনেশন আসলে কী, রোগ না অন্য কিছু?
- পিরামিডের অজানা তথ্য…
- বিকাশ নগদ এবং রকেট’র ভুল নম্বরে টাকা চলে গেলে ফেরত পাবেন যেভাবে
- চুম্বকের আদ্যোপান্ত...
- ‘চুম্বন’ আদর ও ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ
- ‘রক্ত’ রঙের রহস্য...
- ‘ধানমন্ডি’ নামকরণের ইতিহাস
- মানুষের পর বুদ্ধিমান প্রাণী...