ঢাকা, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪
সর্বশেষ:

অবরুদ্ধ মুসলিমদের জন্য ৩ হাজার ৬০ কোটি টাকা অনুদান

ধর্ম ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৭:৫২, ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১  

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত


ফিলিস্তিনের মুসলিম অধ্যুসিত ভূখণ্ড গাজা উপত্যকা দখলদার ইসরাইলি বাহিনী দীর্ঘ ১৪ ধরে লাগাতার অবরোধ করে রেখেছে।

ইসরাইল কর্তৃক অবরুদ্ধ ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরে গাজা উপত্যকার মুসলিম অধিবাসিদের জন্য ৩৬০ মিলিয়ন ডলার আর্থিক অনুদান বরাদ্দ করেছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কাতার। যা টাকার অংকে প্রায় ৩ হাজার ৬০ কোটি টাকা। খবর আরবি গণমাধ্যম আল-কুদস, আল-খালিজ।

গণমাধ্যমগুলো এক প্রতিবেদনে জানায়, কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি ২০২১ সাল জুড়ে পুরো বছর ব্যয় করতে গাজা উপত্যকার অধিবাসিদের জন্য একটি আর্থিক অনুদানের বরাদ্দ দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। যার পরিমাণ প্রায় ৩৬০ মিলিয়ন ইউএস ডলার।

ফিলিস্তিনের ‘আলকুদস’ কমিশনের তথ্য মতে, ফিলিস্তিনের মুসলিম অধ্যুসিত ভূখণ্ড গাজা উপত্যকা দখলদার ইসরাইলি বাহিনী দীর্ঘ ১৪ ধরে লাগাতার অবরোধ করে রেখেছে। ফলে শুধু ২০২০ সালেই দেড়হাজার মিলিয়ন ডলার ক্ষতি হয়েছে। এ দীর্ঘ সময় লাগাতার অবরোধের ফলে ফিলিস্তিনবাসী চরম সংকট ও দুর্দিনের মধ্যে দিন অতিবাহিত করছে।

এক বিবৃতিতে ‘আলকুদস’ কশিমন জানায়, ‘দখলদার ইসরাইলি সেনারা গাজা উপত্যকা একটানা ১৪ বছর অবরোধ করে রাখায় ফিলিস্তিনিদের অবস্থা অত্যন্ত শোচনীয় হয়ে পড়েছে। আগের তুলনায় মহামারি বিপর্যস্ত ২০২০ সালটি তাদের জন্য সবচেয়ে বিপজ্জনক হয়ে দাড়িয়েছে।

একদিকে ইসরাইলী অবরোধ ও বিমান হামলা, অন্যদিকে করোনার প্রকোপ। যার কারণে গাজায় বর্তমান প্রায় ৭০ ভাগ পরিবারের খাদ্য নিরাপত্তা হুমকির মুখে। আর ৮৫ ভাগেরও বেশি মানুষ দারিদ্রতার কারণে মানবেতর জীবন যাপন করছে। 
বেকারত্ব বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬০ ভাগেরও বেশি। সাড়ে ৩ লাখের বেশি মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছে। বিরামহীন বিমান হামলায় বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর ক্ষয়ক্ষতি হওয়ায় ঠিকমত বিদ্যুৎ সেবাও পাচ্ছেনা উপত্যকার অধিবাসীরা।

প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম ও বিদ্যুতের ঘাটতির কারণে এরইমধ্যে গাজার প্রায় ৮০ ভাগ কল-কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে। শ্রমিক, দোকান এবং কর্মশালার মালিকদের অর্থনৈতিক পরিস্থিতির ও ব্যপক অবনতি ঘটেছে।

গাজা উপত্যকার এ দুর্দিনে তাদের সাহায্যে পাশে দাঁড়িয়েছেন কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি। এক বক্তব্যে কাতারের আমির জানান, ‘ইসরাইলি সহিংসতা ও অবরোধে ফিলিস্তিন অধ্যুসিত গাজা উপত্যকার অধিবাসিরা চরম আর্থিক সংকটের মধ্যে দিয়ে দিন কাটাচ্ছে। এ অনুদান দিয়ে দরিদ্র পরিবার, বিদ্যুৎ কেন্দ্র পরিচলনা ও কর্মীদের বেতন প্রদান করবে। যাতে তারা আর্থিক ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারে।

নিউজওয়ান২৪.কম/আরএডব্লিউ